আমরা শান্তি চাই : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে জঙ্গি কর্মকা- থেকে মুক্ত করতে ও চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে জনগণের সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, মানুষ ধ্বংস চায় না, শান্তি চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধ্বংস ও জঙ্গি কর্মকা- নয়, আমরা শান্তি ও উন্নয়ন চাই। আমরা চাই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে এবং এদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে। আমরা চাই বাংলাদেশ ও এর জনগণ বিশ্বমঞ্চে মর্যাদাশীল আসনে আসীন হবে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু কিছু মানুষ বা কিছু মহল ও দলের কারণে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে এবং অন্যদের করুণায় এগিয়ে যাবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
বুধবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত স্ব-স্ব ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও অনন্য অবদানের জন্য ৭ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় খেতাব স্বাধীনতা পদক-২০১৫ প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।
বৃহত্তর সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকার জন্য কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী (মরণোত্তর), ১৯৭১ সালে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর হাতে নিহত মামুন মাহমুদ (মরণোত্তর), ১৯৭১ সালে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মকালে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে জনমত সংগঠনকারী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া (মরণোত্তর), সাহিত্যে অবদানের জন্য বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রফেসর আনিসুজ্জামান, শিল্প-সংস্কৃতিতে বিশিষ্ট অভিনেতা আবদুর রাজ্জাক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বিশিষ্ট কৃষি বিষয়ক গবেষক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ হোসেইন মন্ডল এবং সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য প্রখ্যাত সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত (মরণোত্তর) এ পদক লাভ করেন।
পদকপ্রাপ্তদের পক্ষে প্রফেসর আনিসুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসেইন ভূইঞা পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনীসহ সম্মাননা পাঠ করেন।
প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনীতিক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসস।