ব্রিটেনের যেকোন সরকার কারী শিল্পের উন্নয়নে কাজ করবে

BCAব্রিটেনে আগামীতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, সেই সরকার কারি শিল্পের উন্নয়নে কাজ করবে এমন অঙ্গিকার করলেন ব্রিটিশ এমপিরা। কারি শিল্পের বর্তমান সংকট এবং উত্তরনের উপায় নিয়ে গত ২৫ মার্চ বুধবার হাউজ অব পার্লামেন্টে ব্রিটিশ এমপিদের নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিসিএ এসেক্স রিজিওন। সভায় যোগ দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী এমপি। এ সময় কারি শিল্পের সংকট সমাধানে নিজেদের আন্তরিকতার কথা জানান এসব ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা। পাশাপাশি কারি শিল্পের বর্তমান সংকট মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ব্যাপারেও তারা গুরুত্বারোপ করেন।
বিসিএ এসেক্স রিজিওনের সভাপতি জামাল উদ্দিন মকদ্দুসের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী ফরহাদ হোসেন টিপু ও যৌথ পরিচালনায় সভায় আলোচনায় অংশ নেন হেলথ মিনিস্টার সাইমন বার্নস এমপি, অল পার্টি পার্লামেন্টারী গ্রুপ ফর কারী ইন্ডাস্ট্রির চেয়ার ব্যারোনেস পলা উদ্দিন, ভাইস চেয়ার লর্ড কারেন বিলুমোরিয়া,  স্যার ডেভিড এমিস এমপি, স্যার বব রাসেল এমিপ, মার্গারেট হজ এমপি, কেলবিন হপকিন্স এমপি, এন্ডু গেইন এমপি, চাই অনুরাহ এমপি,বিল ইটারসন এমপি, বিরেন্দ্র শর্মা এমপি, জিম ফিজপ্রেট্রিক এমপি, স্টিফেন টিমস এমপি, রোশানারা আলী এমপি, রবার্ট হলফেন এমপি, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, বিসিএর প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকার ও সেক্রেটারী জেনারেল এম এ মুনিম।
সভার শুরুতেই বিসিএ এসেক্স রিজিওনের সেক্রেটারী ফরহাদ হোসাইন টিপু অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের সামনে কারী শিল্পের বিরাজমান সমস্যা তুলে ধরেন। রেস্টুরেন্টে ভিএটি বৃদ্ধি, হাই স্ট্রীট ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতা, দক্ষ শেফ সংকট এবং রেস্টুরেন্টের ব্যস্ত সময়ে ইমিগ্রেশন রেইডের কারনে কারী শিল্পের যে ক্ষতি হচেছ তা সমাধানে এমপি ও লর্ডসদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই কমিশনের কন্সুলার মিনিস্টার শরিফা খান, কমিউনিটি নেতা ও প্রবীণ ক্যাটারার্স আলহাজ্ব শামসুদ্দিন খানসহ বিসিএ এসেক্স রিজিওনের বিভিন্ন শহর চেমসফোর্ড, সাউথএন্ড, কলচেস্টার, রোমফোর্ড, ইলফোর্ড, ব্রেইনট্রি ও ক্লাকটনের ক্যাটারার্সবৃন্দ।
হেলথ মিনিস্টার সাইমন বার্নস এমপি বলেন, কারি শিল্প বৃটেনের কর্মসংস্থান সৃস্টিতে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখছে। বৃটিশ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জনেও সহায়তা করছে। তাই কারি শিল্প সকল ধরনের সরকারী সহায়তার দাবী রাখে।  আমি আশা করবো সরকার এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে।
অনুষ্ঠানের হোস্ট স্যার ডেভিড এমিস এমপি বলেন, বাংলাদেশী কারি বৃটিশ জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। কারি পুরো বৃটেনজুরেই জনপ্রিয় ডিশ। কিন্তুু এই শিল্প বর্তমানে সংকট অতিক্রম করছে।  এ সংকট সমাধানে সরকারী সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। বৃটিশ সরকার এই শিল্পকে বাচিঁয়ে রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। আগামীতে যে সরকারই আসুক না কেন । সেই সরকার কারী শিল্পের সংকট সমাধানে কাজ করবে।
বিসিএর প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকার বলেন, কারি শিল্প বৃটেনে নানা ঐতিহ্য ধারন করছে। এটি একটি ক্রমবর্ধমান শিল্প। বাংলাদেশী কারি শিল্প ইতিমধ্যে সফলতার সাথে তার অর্ধশত বছর পার করেছে। কিন্তুু এই শিল্প এখন নানাভাবে সমস্যা জর্জরিত। এ সমস্যা সমাধানে তিনি দলমত নির্বিশেষে সকল বৃটিশ রাজনীতিবিদের প্রতি আহবান জানান, তারা যাতে এই শিল্পের কল্যানে কাজ করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button