ইউরোপে বিমান কোম্পানিগুলির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘোষণা
আল্পসে জার্মানউইংসের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৫০ জনের মৃত্যুর পর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে জার্মান এভিয়েশন এসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, বিমানের অন্তত দুজন ক্রু সবসময় বিমানের ককপিটে থাকার নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হবে।
ভার্জিন এয়ার ও ইজিজেটসহ বেশ কটি ইউরোপীয় এয়ারলাইনার ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বিমানটির সহকারী পাইলটই ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটি ধ্বংস করেছেন বলে উদ্ধার করা ডেটা রেকর্ডার থেকে জানা যাচ্ছে। এরপরই এমন ঘোষণা এলো।
একজন ফরাসী তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, ঘটনার সময় বিমানের পাইলট ককপিটের বাইরে গিয়েছিলেন। তখন কো-পাইলট ককপিটের দরজা বন্ধ করে দেন। পাইলটের কোনো ডাকে তিনি সাড়া দেননি।
দেড়শ আরোহীকে সঙ্গে নিয়ে কো-পাইলট আন্দ্রিয়াস লুবিৎয কেন স্বেচ্ছায় আল্পসের দিকে বিমান উড়িয়ে নিয়ে বিধ্বস্ত করলেন তার জবাব খুঁজতে তাকে নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
আন্দ্রিয়াস লুবিৎয-এর বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে কিন্তু সেখানে সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়েনি তদন্তকারীদের। উগ্র কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গেও তার কোনো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
লুবিৎয-এর প্রতিবেশীরা বলছেন, তিনি শান্ত ও বন্ধুবৎসল ছিলেন। তিনি এতো বড় একটা কান্ড ঘটাতে পারেন সেটি তাদের কাছে বোধগম্য নয়।
মঙ্গলবার স্পেনের বার্সেলোনা থেকে ১৪৪ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু নিয়ে জার্মানির ডুসেলডর্ফ যাওয়ার পথে বিমানের সহকারী চালক বিমানটিকে স্বেচ্ছায় উড়িয়ে নিয়ে আল্পসের পাথুরে পাহাড়ের গায়ে আছড়ে পড়েন বলে তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন। এতে আরোহীদের সকলের মৃত্যু হয়।