ব্রিটিশ মিউজিয়ামে মুসলিম শিল্পকলা
মুসলিম শিল্পকলা ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে দু’টি নতুন গ্যালারি চালু করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ মিউজিয়াম। গ্যালারি দুটি মালয়েশিয়ার আলবুখারি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নির্মিত হবে। বর্তমান বিশ্বে ‘সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গিবাদী’ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিয়ে ইসলামের ভাবমূর্তি যে ‘সংকটে পড়েছে’ তা কাটিয়ে উঠতে মুসলিম শিল্পকলার এ প্রদর্শনী সহায়ক হবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা। শিল্পকর্ম, প্রতœসামগ্রী ও কারুপণ্যের সংগ্রহ ও প্রদর্শনীর বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগ্রহশালাগুলোর একটি ব্রিটিশ মিউজিয়াম। বর্তমানে সুপরিসর এই জাদুঘরের উত্তরাংশের একটি গ্যালারিতেই কেবল মুসলিম শিল্পকলার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। ওই গ্যালারি দেখতে হলে প্রধান ফটক থেকে বেশ খানিকটা ভেতরে হেঁটে যেতে হয় বলে বিশেষ আগ্রহীরা ছাড়া সেখানে দর্শক সংখ্যা খুব বেশি নয়। কিন্তু মুসলিম শিল্পসংগ্রহের নতুন গ্যালারি দুটি ভবনটির দক্ষিণ অংশে প্রধান ফটকের কাছাকাছি নির্মাণ করা হবে বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে ব্রিটিশ মিউজিয়াম।মালয়েশীয় ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান সাইয়েদ মোখতার আলবুখারি বলেছেন, মানুষকে মুসলিম শিল্পকলা ও প্রতœসামগ্রীর বিষয়ে সচেতন করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষত ইরাকে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের হাতে ঐতিহাসিক স্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংসের মতো ঘটনা ঘটতে থাকায় এটা এখন অপরিহার্য হয়ে গেছে। এমন ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকলে একসময় আর মুসলিম সংস্কৃতির কোনো নিদর্শন অবশিষ্ট থাকবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। আলবুখারি বলেন, জঙ্গিবাদের এই ধ্বংসাত্মক দিকের বিপরীতে মুসলিম সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরাটা জরুরি।২০১২ সালে ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় মুসলিম শিল্পকলা নিয়ে এই উদ্যোগ গ্রহণ করল ব্রিটিশ মিউজিয়াম। প্রদর্শনীটির পরিচালক নেইল ম্যাকগ্রেগর সংবাদ সম্মেলনে জানান, ওই প্রদর্শনী ১ লাখ ৫০ হাজার দর্শককে আকৃষ্ট করেছিল। তিনি বলেন, এ থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায় ব্রিটেনের মানুষের মুসলিম বিশ্বের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার ক্ষুধা আছে।মুসলিম শিল্প সংগ্রহ নিয়ে নতুন এই প্রকল্পের প্রধান কিউরেটর ভেনিটিয়া পোর্টার। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়েই ব্রিটিশ মিউজিয়াম প্রথমবারের মতো নিজেদের ইউরোপীয় মূল সংগ্রহের সঙ্গে মুসলিম সংগ্রহের সম্পর্ক দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন,‘মুসলিম সংগ্রহশালাটিকে জাদুঘরের কেন্দ্রীয় এলাকায় নিয়ে আসা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’