জনমত জরিপে ডেভিড ক্যামেরনই এগিয়ে
ব্রিটেনের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবারের ব্যাটল ফর নাম্বার টেন শীর্ষক টিভি বিতর্কের পরবর্তী জনমত জরিপে শেষ পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনই এগিয়ে রয়েছেন। বিতর্ক পরবর্তী জনমত জরিপের ৫৪ শতাংশ ভোটার ক্যামেরনকে আবারো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখবার পক্ষেই মত দিয়েছেন। অনুষ্টানে এড মিলিব্যান্ড বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো যথেষ্টন যোগ্যতা তাঁর আছে।
অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, রাষ্ট্রীয় ঋণ মোকাবিলা এবং সরকারের নানা বিতর্কিত নীতি নিয়ে তুলোধোনা হয়েছেন যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ দলের নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। কিন্তু বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ডের অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেতাসুলভ মনোভাবের কারণে শেষ পর্যন্ত বিতর্কের ফলাফল ক্যামেরনের পক্ষেই গেছে।
আসছে ৭ মে অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতা বৃহস্পতিবার টিভি পর্দায় সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। ‘ব্যাটল ফর নাম্বার টেন’ শীর্ষক এ বিতর্কে দর্শকদের পাশাপাশি ঝানু উপস্থাপক জেরেমি প্যাক্সম্যানের কঠিন প্রশ্নের পরীক্ষায় পড়তে হয় দুই নেতাকে। অনুষ্ঠানটি চ্যানেল ফোর ও স্কাই নিউজ সম্প্রচার করে।
দলের নীতি নিয়ে নয়; বরং বড় ভাই ডেভিড মিলিব্যান্ডকে পরাজিত করে লেবার দলের নেতা হওয়া প্রসঙ্গে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন এড মিলিব্যান্ড। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অভিবাসন নীতি প্রশ্নে এড মিলিব্যান্ড বলেন, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে এমনটাই চায় তাঁর দল। অন্যদিকে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করলেও এ বিষয়ে কোনো সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করতে নারাজ তিনি। এড মিলিব্যান্ড দাবি করেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো যথেষ্ট দৃঢ়তা তাঁর আছে।
অন্যদিকে কর ফাঁকি ও বিতর্কিত ধনী পেশাজীবীদের সঙ্গে সখ্যের বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। অর্থনীতি ভালো করলেও কী কারণে তাঁর মেয়াদে দাতব্য খাদ্য সংস্থার (ফুড ব্যাংক) ওপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা বাড়ল সে প্রশ্নেরও জবাব ছিল না তাঁর। লিবিয়াকে একটি অস্থিতিশীল ও ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে ফেলে আসা ঠিক হয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাব ক্যামেরান দিয়েছেন ঘুরিয়ে। ক্যামেরন বলেন, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেও তাঁর সরকার ইইউর বাইরের দেশ থেকে আসা অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়েছে ১৩ শতাংশ। প্রায় আটশত ভুয়া কলেজ তাঁরা বন্ধ করেছেন, যেগুলো ভিসা ফ্যাক্টরি হিসেবে কাজ করছিল। রাষ্ট্রীয় কল্যাণ ব্যয় হ্রাস অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন ক্যামেরন।