রয়্যাল লন্ডন হাসপাতালের পুরনো ভবন কিনে নিয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস

Lutfur Rahmanপূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল এলাকায় অবস্থিত রয়্যাল লন্ডন হাসপাতালের পুরনো ভবনটি কিনে নিয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। সংস্কারকাজ শেষে ২০১৮ সালে এই ভবনেই কাউন্সিলের কার্যালয় স্থানান্তরিত হবে। বারার নির্বাহী মেয়র লুতফুর রহমান গত ২৩ মার্চ সোমবার ভবনটি পরিদর্শন করেন।
পূর্ব লন্ডনের মালবারি প্লেসে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের বর্তমান কার্যালয় অবস্থিত। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর যাবত কাউন্সিল ভাড়া চুক্তিতে এই ভবনটি ব্যবহার করছে। নিজস্ব ভবনে কার্যালয় স্থানান্তরিত হলে বছরে প্রায় ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন বারার মেয়র লুতফুর রহমান। যা বর্তমানে কাউন্সিলের ভাড়া বাবদ খরচ হচ্ছে।
মেয়র জানান, হাসপাতালের পুরনো ভবনটি কিনতে কাউন্সিলের ব্যয় হচ্ছে ৯ মিলিয়ন পাউন্ড। যা  বর্তমান ভবনের এক বছরের ভাড়ার চাইতেও কম।
লুতফুর রহমান বলেন, এখানে কাউন্সিল ভবন স্থানান্তরিত হলে এখানেই গড়ে উঠকে কমিউনিটির প্রানকেন্দ্র। যেখানে কাউন্সিলের প্রায় ১৩ হাজার স্টাফের মধ্যে প্রায় তিন হাজার স্টাফ নতুন ভবনে কাজ করতে পারবেন।
হোয়াটচ্যাপলে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে ক্রসরেইল লাইন স্থাপনের কাজ। যা ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। আবার ২০২৫ সালের মধ্যে হোয়াটচ্যাপল ভিশনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশি অধ্যুষিত হোয়াইটচ্যাপেল এলাকায় জীবনযাত্রা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে আমুল পরিবর্তন আসবে। এইসব প্রকল্পেরই একটি অংশ হচ্ছে কাউন্সিলের টাউন হল প্রতিষ্ঠা।
কাউন্সিলের হেড অব ফেসেলিটি ম্যানেজম্যান্ট কেইথ ফ্রেসার জানান, ইংলিশ হেরিটেজ লিস্টেড এই ভবনের সামনে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। তবে ভবনের ভেতরের কাঠামোর  উন্নয়ন হবে। যার সংস্কারকাজ শেষ করতে খরচ হবে প্রায় ৭০ মিলিয়ন পাউন্ড। পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যেই ভাড়া বাবদ এই অর্থ সাশ্রয় হয়ে যাবে বলে মনে করে কাউন্সিল। মেয়র বলেন, নতুন ভবন কেনার ক্ষেত্রে বারার কর দাতাদের ওপর যাতে কোনো বাড়তি চাপ না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনে তহবিল সংগ্রহে বিকল্প ব্যবস্থা বিবেচনা করা হবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করেন, হোয়াইটচ্যাপেলে কাউন্সল ভবন স্থানান্তরিত হলে তা এই এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মেচণ করবে। স্ট্রিট মার্কেটের ছোট ব্যবসায়িরাও যাতে এই উন্নতির অংশিদার হতে পারেন সেদিকে দৃষ্টি দেয়ারও আহবান রয়েছে।
মেয়র লুতফুর রহমানের পক্ষে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের মার্চ মাসে উদ্বোধন হয় হোয়াইটচ্যাপল ভিশন প্রজেক্ট। এই প্রজেক্ট সম্পন্ন হবে ২০১৮ সালে। তখন হোয়াইটচ্যাপল এলাকায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দাড়াবে ৫ বিলিয়ন পাউন্ডে। ২০২৫ সালের মধ্যেই এখানে সাড়ে তিন হাজার নতুন বাড়িঘর নির্মাণ এবং ৫ হাজার নতুন চাকুরীর সুযোগ সৃষ্টি হবে। এমন সম্ভাবনার পর নতুন করে যুক্ত হলো হোয়াইটচ্যাপলে টাওয়ার হ্যামলেটসের টাউন হল।
৪ তলাবিশিষ্ট এই ভবনের প্রথম তলায় কমিউনিটির জন্য সিভিক হাব, দ্বিতীয় তলায় কাউন্সিল চেম্বার এবং তৃতীয় তলায় অফিসসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত হবে। মেয়র লুতফুর রহমান আশাবাদি টাউন হল হোয়াইটচ্যাপলে স্থানান্তরের মধ্যদিয়ে এই এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যে নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার উম্মক্ত হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button