চুক্তি হোক না হোক লাভ ইরানের
যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণুবিষয়ক চুক্তি করতে এক যুগ ধরে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। সময়ের পরিক্রমায় তেহরান আরও শক্তিশালী হয়ে আবির্ভূত হয়েছে। এবারও চুক্তি হোক আর না হোক- লাভ ইরানেরই হবে বলে মনে করছেন পশ্চিমা বিশেজ্ঞরা। দিনে দিনে মধ্যপ্রাচ্যের অ-আরব এই রাষ্ট্রটি শক্তিধর হয়ে উঠবে। বুধবার সিএনএন এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছে। ইরানস পাওয়ার রাইজেস, উইথ অর উইথআউট ডিল শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তেহরানের সাম্প্রতিক হাবভাব দেখে মনে হয়, তারা খুন করার সক্ষমতা রাখে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার টেবিলে ইরানের আচরণ এটাই জানিয়ে দেয়, তাদের আন্তর্জাতিক মর্যাদা অনেক উঁচুতে। আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা উপদেষ্টা ফোরাম স্টার্টফরের বিশ্লেষক রিভা ভালা বলেন, আরব বসন্তের পূর্ণসুযোগ নিয়েছে ইরান। তিনি বলেন, তেহরান ভূরাজনীতি নিয়ন্ত্রণের খেলায় মেতে উঠেছে। মধ্যপ্রাচ্যে প্রক্সি যুদ্ধ চালাচ্ছে। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফস ডেনিস ম্যাকডোনাফ বলেন, পরমাণু চুক্তিতে উপনীত হলেও আমাদের উদ্বেগ, তেহরানের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব বাড়তেই থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হতাশ সৌদি : মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্রমাগত প্রভাব বৃদ্ধি ও ওবামা প্রশাসনের নরম আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছে সৌদি আরব। পরমাণু চুক্তির মাধ্যমে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ হচ্ছে- এসন আশংকায় নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে একক সিদ্ধান্ত নিয়ে ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে রিয়াদ। বিশেষজ্ঞরা এমনটাই মনে করছেন। ব্রিটেনের ডুরহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপসাগর বিশেষজ্ঞ অনুশ এহতেশামি বলেন, পরমাণু চুক্তির অগ্রগতিতে সৌদি হতাশ।