জোর করে নয় বরং শিথিল কর্মঘণ্টা বেশি কার্যকরী
জোর করে কর্মীদের বেশিক্ষণ অফিসে আটকে রাখলেই ভালো কাজ আদায় করা যায় না। বরং কর্মঘণ্টা যদি শিথিল রাখা হয়, তাহলে কর্মীদের কাছ থেকে অনেক ভালো কাজ পাওয়া সম্ভব। এমনকি কর্মীরা যদি নিজেরাই পছন্দমতো কাজের সময় বেছে নিতে পারেন, তাহলে আরও ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
ইংল্যান্ডের লাফবর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকদের সমীক্ষায় এমন তথ্য মিলেছে বলে দাবি করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ১৮ বছর ধরে ২০ হাজার কর্মীর কাজের সময়ের ধরন ও কাজের মানের ওপর সমীক্ষা চালান গবেষকেরা। গবেষণার ফলাফল নিয়ে একটি নিবন্ধ হিউম্যান রিলেশনস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়।
গবেষণায় জানা যায়, যাদের অফিসে কর্মঘণ্টার বাইরেও অতিরিক্ত সময় থাকতে হয় তাঁরা নিজেকে ও পরিবারকে সময় কম দিতে পারেন। ফলে মানসিকভাবে অসন্তুষ্ট থাকেন। অনেক সময় অফিসের কাছে তাঁদের প্রত্যাশাও বাড়ে। প্রত্যাশা পূরণ না হলে তাঁরা হতাশায় ভোগেন। এটি তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।
গবেষকদের দাবি, ৫৫ শতাংশের বেশি কর্মী যাঁরা সপ্তাহে নিয়মিত ৫০ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে কাজ করেন, তাঁদের কর্মস্পৃহা সেই ৪০ শতাংশ কর্মীর চেয়ে কম, যাঁরা সপ্তাহে ৪০ থেকে ৪৯ ঘণ্টা করে থাকেন।
গবেষক অ্যান্ডি চার্লউড বলেন, এতে কর্মীদের কাছ থেকে তাঁদের সেরা প্রাপ্তি আদায় করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে কর্মীদের কাছ থেকে তাঁদের সেরা কাজ আদায় করতে হলে প্রতিষ্ঠানের কাজের নীতিমালায় পরিবর্তন আনা দরকার। জোর করে বেশিক্ষণ অফিসে আটকে না রেখে তাঁদের পছন্দমতো কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা যেতে পারে। সুযোগ থাকলে যে সময়টা কর্মী কাজ করতে চান, সে সময়টা তাঁকে দেওয়া যেতে পারে। এতে প্রতিষ্ঠানেরই লাভ বেশি।