দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন

২০৭০ নাগাদ ইসলাম হবে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্ম

USAসাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বী ও ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা প্রায় সমান হয়ে যাবে। আর ২০৭০ সালের পর সব ধর্মকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্মের জায়গাটি নেবে ইসলাম।
প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসের সহ-প্রকাশনা দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে।
পিউ রিসার্চ সেন্টার বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধর্মের বিকাশের গতি, মানুষের জন্মহার, তরুণ জনগোষ্ঠির মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা এবং ধর্মান্তরকরণের হার বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে যে, বর্তমানে ইসলামই সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম। আর এই হার অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালেই ইসলাম খ্রীষ্ট ধর্মের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে বলে গবেষণাটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে।
২০১০ সালের হিসেব থেকে দেখা যায়, ২১৭ কোটি খ্রিষ্টানের বিপরীতে বিশ্বের ১৬০ কোটি মানুষ ইসলাম ধর্মানুসারী। আর গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বলছে ২০৫০ নাগাদ এই সংখ্যা দাঁড়াবে, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ২৯২ কোটি এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠি ২৭৬ কোটি। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার যথাক্রমে ৩১.৪ এবং ২৯.৭ শতাংশ। হিন্দু জনগোষ্ঠি হবে তৃতীয় বৃহত্তম, ১৪.৯ শতাংশ।
বৌদ্ধ ধর্ম একমাত্র ধর্ম যার অনুসারীরা এই সময়ের মধ্যে সংখ্যায় বাড়বে না। এর কারণ হিসেবে দীর্ঘায়ু এবং কম জন্হারকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইউরোপ এবং আমেরিকা উভয় অঞ্চলেই খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা হ্রাস পাবে। যুক্তরাষ্ট্রে এই হার তিন চতুর্থাংশ থেকে দুই তৃতীয়াংশে নামবে। ইউরোপের ১০ শতাংশ মানুষের ধর্ম হবে ইসলাম। অন্যদিকে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে বাড়বে নাস্তিকদের সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রে অখ্রিষ্টীয় ধর্ম হিসেবে ২০৫০ নাগাদ ইহুদীবাদকে জনপ্রিয়তায় ইসলাম ছাড়িয়ে যাবে বলে বলছে গবেষণাটি।
গবেষণাটি বলছে, ২০৫০ সালে ভারত ইন্দোনেশিয়াকে হটিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হবে, তবে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা তখনও থাকবে দেশটিতে। মূলত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা।
বিশ্বের ১৭৫টি দেশের ২ হজার ৫০০ জরিপ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এই বিশ্লেষণ করেছে পিউ। তবে, তারা বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বড় ধরণের সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক পরিবর্তন, সশস্ত্র যুদ্ধ, ইত্যাদি বিষয়গুলো এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে ব্যাহতও করতে পারে। তা না হলে, ২০৫০ সাল নাগাদ এমনটাই হবে বিশ্বের ধর্মভিত্তিক ভূগোল।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button