সাহারার জার্সি অার পড়বে না বাংলাদেশের ক্রিকেট টিম
শেষ পর্যন্ত ভারতের বিতর্কিত ও প্রতারক সংস্থা সাহারার সাথে চুক্তি বাতিল করছে বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। এই চুক্তির কারনে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জার্সিতে সাহারা লেখা লোগো নিয়ে খেলতো।
সাহারা গ্রপের প্রধান সুব্রত রায় চিট ফান্ড বা প্রতারনার মাধ্যমে সাধারন মানুষের অর্থ লোপাটের কারনে জেল খাটেন।
সুব্রত সাহারা বাংলাদেশে এসে সাহারা লোগো লাগানো জার্সি উদ্বোধন করেছিলেন। বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেট অনুরাগী বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের গায়ে ভারতীয় এই প্রতারক সংস্থার জার্সি গায়ে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এই বিসিবি গ্রামীন ফোনের চেয়ে বেশি অর্থ পাওয়ার আশায় সাহারাকে বেছে নিয়েছিলো।
মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ মাস আগেই ভারতের ‘সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার’-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান আম্বি ভ্যালি’র সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল বিসিবি। এতে করে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে ‘সাহারা’ শব্দটি আর থাকছে না।
নতুন স্পন্সর খুঁজছে বিসিবি। হাতে সময় বেশি নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে আসন্ন সিরিজের আগেই দলের জার্সিতে নতুন লোগো দেখতে চায় বোর্ড। শুক্রবার ক্রিক ইনফোকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিসিবির সিইও নাজিমুদ্দিন চৌধুরী।
২০১২ সালের জুনে আম্বি ভ্যালির সঙ্গে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের স্পন্সরশিপ চুক্তি হয় বিসিবির। চার বছর মেয়াদি চুক্তিটা শেষ হওয়ার কথা আগামী বছরের জুনে। আগেই চুক্তি বাতিলের কারণে অর্থের লেনদেনটা কেমন হবে সেটা এখনও খোলাসা হয়নি।
“পাকিস্তান সিরিজের জন্য নতুন টিম স্পন্সর পেতে আমরা এরইমধ্যে বিজ্ঞাপন দিয়েছি। সাহারার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে পারছি না আমরা।” বললেন নাজিমুদ্দিন। আরও জানালেন, নতুন স্পন্সরের জন্য সময় আছে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত।
এর মধ্যেই চুক্তিতে উল্লেখ থাকা মোট টাকার অংকের অর্ধেকটাই জামানত হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।
এর আগে গ্রামীণফোনের ৯৪ লাখ ডলারের চেয়ে ৩৪ লাখ ডলার বেশি প্রস্তাব করে স্পন্সর বাগিয়ে নিয়েছিল সাহারা।
গত কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটির আর্থিক টানাপড়েনের খবরও চাউর হয়েছে ভালো মতো। গ্রুপের প্রধানের বিচার এখনও চলছে। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছিল। এখন তিনি জামিনে মুক্ত। -বাংলা ট্রিবিউন