লন্ডনে ছয় তলা কার পার্কিং তৈরি করেছেন দুবাইয়ের শাসক
একেই বোধ হয় বলে ‘রাজার শখ’ ! শুধু লন্ডনেই তার ১১৪টি গাড়ি। রাখার জায়গার অভাব হওয়ায় লন্ডনে একটি ছয় তলা কার পার্কিং বিল্ডিংই তৈরি করে ফেলছেন। এখানেই শেষ নয়, কার পার্কিং বিল্ডিংটিতে থাকছে প্রচুর ঘরও। বিলাসিতার নিরিখে সব কয়টি ঘরই যেকোনো পাঁচতারা হোটেলকে টেক্কা দেবে। ঘরগুলো তৈরি হচ্ছে ড্রাইভারদের জন্য।
রাজকীয় শখে ব্রিটেনের রাজধানীতে আপাতত চর্চার তুঙ্গে দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতউম।
দুবাই, নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অর্থ, বিলাসিতা-বৈভব। আরব্য রজনী। এহেন দুবাইয়ের শাসক! বুঝতেই পারছেন, শেখ মোহাম্মদের ধন-সম্পত্তি নিয়ে আর খামোখা বাক্যব্যয় না করাই সমীচিন। এমনিতেই শেখ মোহাম্মদের জীবনযাপনের বিলাসিতা চমকে দেয় দুনিয়াকে। আবারো একবার সবাইকে তাক লাগিয়ে গাড়ি-বিলাসিতায় বিশ্বের তাবড় ধন-কুবেরদের চোখ কপালে তুলে দিতে চলেছেন দুবাইয়ের শাসক।
লন্ডনে টেমস নদীর তীরে বিশালাকার বহুতল নির্মাণ করছেন শেখ মোহাম্মদ। প্রথমে সবাই ভেবেছিলেন, এটা বোধ হয় কোনো পাঁচতারা হোটেল তৈরি হচ্ছে। পরে জানা যায়, আসলে ওখানে শেখ মোহাম্মদের ১১৪টি গাড়ি ও সেগুলোর ড্রাইভাররা থাকবেন। বিলাসবহুল ওই কার পার্কিং বিল্ডিংয়েই স্বপরিবারে থাকবেন তার ড্রাইভাররা। শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতউনের বক্তব্য, তিনি যখনই লন্ডনে বেড়াতে আসবেন, হেলিকপ্টার থেকে নামার পরই যেকোনো একটি দামি গাড়ি বেছে নেবেন।
ছয় তলার বিলাসবহুল গাড়ি পার্কিং বিল্ডিং তৈরির পিছনে কারণটাও বেশ মজার। লন্ডনের মেনডিপ রোডের কার পার্কিং এলাকায় শেখ মোহাম্মদের গাড়িগুলো রাখা থাকে।
লন্ডনের বহু বাসিন্দা অভিযোগ জানান, গোটা গাড়ি পার্কিং এলাকাতেই শেখ মোহাম্মদের গাড়ি থাকায় তাদের গাড়ি রাখার জায়গা হচ্ছে না।
পুরো রাস্তাটাই যেন দুবাইয়ের শাসকের মালিকানাধীন হয়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ শুনেই নিজের জন্য ছয় তলার বিলাসবহুল কার পার্কিং বিল্ডিং তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন শেখ মোহাম্মদ।