পাশ্চাত্য পোশাক পরার প্রবণতা ধর্ষণের ঘটনা বাড়াচ্ছে : গোয়ার কারখানা মন্ত্রী
ভারতের মহিলারা যত বেশি পাশ্চাত্য সংস্কৃতি আঁকড়ে ধড়ছেন, এ দেশে তত বাড়ছে ধর্ষণ! গোয়ার কারখানা মন্ত্রী দীপক ধাভালিকরের স্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে আগেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এবার মন্ত্রী স্বয়ং স্ত্রীর মন্তব্যের স্বপক্ষে গলা চড়ালেন। ধর্ষণের কারণ হিসাবে সরাসরি মহিলাদের পোশাককে দায়ী করলেন তিনি। ”মহিলারা এখন যে ধরণের পোশাক পড়েন, তা ধর্ষণের মত ঘটনার প্রবণতা বৃদ্ধি করে।” মন্তব্য ধাভালিকারের।
তাঁর স্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে গোয়ার কারখানা মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চায় সংবাদসংস্থা পিটিআই। স্ত্রী, লতার বক্তব্যকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে ধাভালিকরের মন্তব্য ”যখন মহিলারা হিন্দু ধর্মের সংস্কৃতি মেনে চলতেন, তখন ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটত না। এখন, লোকজনের আচার ব্যবহার বদলেছে। বদলেছে পোশাক-পরিচ্ছদও, আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধর্ষণ।
লতা ধাভালিকর বিতর্কিত ডানপন্থী গেরুয়া সংগঠন Sanatan Sauns-এর নেত্রী। রবিবার মারেগাঁওতে একটি প্রকাশ্য সভায় গোয়ার সমস্ত অভিভাবককে তাঁদের সন্তানদের মিশনারি স্কুলে ভর্তি না করার আবেদন জানান তিনি। এই সভাতেই তিনি দাবি করেন পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাবেই ভারতে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে।
মন্ত্রী নিজের স্ত্রীর মন্তব্যকে সমর্থন করে বলেছেন ”কনভেন্ট স্কুলগুলো আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে কতটুকু জানে? যান, কনভেন্ট স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে দেখুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন। আমাদের প্রকৃত সংস্কৃতি সম্পর্কে ওদের কোনও ধারণাই নেই।”
”হিন্দু প্রতিষ্ঠানগুলি মনে করে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মের প্রসারণ প্রয়োজন। পাশ্চাত্য সংস্কৃতি আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে গিলে খাচ্ছে। আমি লতার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।”
দিলীপ ধাভালিকরের বড় ভাই সুদিন ধাভালিকরও গোয়ার রাজ্য মন্ত্রী। গত বছর তিনি গোয়ার বিচগুলোতে বিকিনি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। তাঁর এই দাবি ঘিরেও চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়।