কওমি মাদরাসা পদ্ধতি ভয়াবহ বিপজ্জনক : অর্থমন্ত্রী
এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশে ২৬ থেকে ২৮ হাজার কওমি মাদরাসা আছে। আলিয়া মাদরাসাগুলো সরকারি সহায়তায় চলে। কিন্তু কওমি মাদরাসা পদ্ধতি ভয়াবহ বিপজ্জনক। এরা সরকারি অনুদান নেয় না। আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। তাই তাদের নিয়ে সরকার কতটুকু করতে পারে সেটা চিন্তার বিষয়। এদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার কমিয়ে দুই লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত এ আকার ছিল দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। এতে বক্তব্য রাখেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, পরিকল্পনা সচিব সফিকুল আজম, অ্যাডভোকেট সালমা আলী, মালেকা বেগম, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির, বাপার আবু নাসের খান, সুপ্রর এহসান সুব্রত বাড়ৈ, রেখা সাহা প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বেতন বৈষম্য কমানো উচিত। এটি দেখা হবে। এটি দূর করতে সময় লাগবে। আর এটা পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে। তিনি বলেন, যেসব বইয়ের ওপর কর হওয়া দরকার, সেগুলোর ওপর কর হবে। কর আরোপ আছে বিশেষ বিশেষ কিছু বইয়ের ওপর। কিন্তু সাধারণ পাঠ্যবইয়ের ওপর কর থাকবে না। প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে স্টেডিয়াম বানাতে চাই। সে জন্য কাজ করা হচ্ছে। সমতলের আদিবাসী পাবলিক টয়লেট ইত্যাদি েেত্র বরাদ্দ বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে দারিদ্র্য ও বৈষম্য দুটোই কমছে। অতি দরিদ্রদের সংখ্যাও অনেক কমেছে। আগামী ২০৩০ সালে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষয়ে তিনি বলেন, এটির কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। তাই এখন স্থান পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্প মনিটরিং বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। মেট্রোরেল ঢাকা শহরের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ প্রকল্প। এ জন্য এটি বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দরিদ্রের প্রতি আমাদের অবশ্যই বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ঢাকা শহরের বস্তিতে প্রায় ৫০ লাখ লোক বাস করে। তাদের দিকে নজর দিতে হবে।
ড. আতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে ১০ টাকা সুবিধায় এক কোটি ৩৩ লাখ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এর মধ্যে এক কোটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে কৃষকেরা। বাকিরা পথশিশুসহ অন্যান্য সেবাগ্রহী। সাড়ে আট লাখ রয়েছে শিশুদের হিসাব। ২০০ কোটি টাকার ফান্ড করে এমএফআইদের মাধ্যমে তাদের ঋণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।