লাভে ফিরতে বিমানের নতুন পরিকল্পনা
এক বছর আগেও আড়াইশ কোটি টাকা লোকসান গোনার পর বিমানকে লাভের ধারায় ফিরিয়ে আনতে নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইল হেডউড। এই পরিকল্পনায় কোথাও কোথাও ফ্লাইট বাড়ানো হবে, সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হবে লোকসানি ফ্লাইট। বুধবার কুর্মিটোলায় বিমান সদর দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কাইল হেডউড তার এ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, লাভজনক রুট জেদ্দা, দাম্মাম, কলকাতা ও কুয়ালালামপুরে অতিরিক্ত ফ্রিকোয়েন্সি যোগ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আর লোকসানি রোম রুট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। তবে ফ্লাইট কী পরিমাণ বাড়ছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। অভ্যন্তরিণ ফ্লাইট পুনরায় চালুর পর চলতি বছরের শেষে দুটি নতুন গন্তব্য খোলার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
বিমানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলম্বো ও চীনের গুয়ানজোতে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। হেডউড বলেন, বিমানের বর্তমান বহরে ইতিমধ্যে ছয়টি বোয়িং ৭৭৭ ?উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। আর চলতি বছরের শেষভাগে যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন আরও দুটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ। এতে বহরের সক্ষমতা বাড়বে। বাণিজ্য প্রসারের কারণে এ দুটি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা লাভজনক হবে বলে বিমান মনে করছে।
ঢাকা-রোম রুট বন্ধ করে দেওয়া প্রসঙ্গে কাইল হেডউড বলেন, এই রুটটি পরিচালনা করতে আমাদের এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান গুনতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটি বিমানের সবচেয়ে বেশি লোকসানি রুট। এ কারণে আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে, আমরা কোথায় টাকা ঢালছি।
২০১৩-১৪ অর্থ বছরে বিমানের লোকসানের পরিমাণ ছিল ২৫৪ কোটি টাকা, যা তার আগের অর্থ বছরের চেয়ে ৬১ কোটি টাকা বা ৩২ শতাংশ বেশি। ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিমান লাভের মুখ দেখেছে মাত্র চার বছর। সর্বশেষ ২০০৮-০৯ সালে ১৫ কোটি ৫৭ লাখ লাভ করে জাতীয় পতাকাবাহী এই বিমান সংস্থা।