লন্ডনে আমার দেশ পরিবারের প্রতিবাদ সমাবেশ

Mahmudur Rahmanদৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনের প্রতীক। গণআেেন্দালনের মাধ্যমেই মাহমুদুর রহমানকে মুক্ত করে আনবে বাংলাদেশের জনগন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে অচিরেই আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মুক্ত হবেন বলে মনে করেন বৃটেন প্রবাসী বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, আইনজীবী ও রাজনীতিকরা। শুক্রবার রাতে ইস্ট লন্ডনের মন্টিফিউরি সেন্টারে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত আমার দেশ পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের কলম ও কন্ঠ ছিল সোচ্ছার। ১/১১-এর জরুরী আইনের সরকারের সময় মাহমুদুর রহমান লেখনীর মাধ্যমে প্রথম প্রতিবাদ করতে শুরু করেছিলেন। তাঁরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তিতে ১/১১-এর সরকারের বিরুদ্ধে একটি জনমত গড়ে উঠেছিল। তখন বাংলাদেশের অনেক সম্পাদক ১/১১-এর জরুরী আইনের সরকারকে তাদের আন্দোলনের ফসল হিসাবে ঘোষণা করে আত্মতৃপ্তিতে ছিলেন। সেই সময় মাহমুদুর রহমান লিখেছিলেন ১/১১-এর সরকার এসেছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিতে। বক্তারা বলেন, ১/১১-এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার যখন ভারতের স্বার্থ রক্ষায় জাতীয় স্বার্থকে বিসর্জন দিচ্ছিল মাহমুদুর রহমান তখন প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এই সড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই তিনি আজ বিনা বিচারে কারাগারে আটক আছেন।
বক্তারা বলেন দেশের বর্তমান দূরাবস্থা থেকে উত্তরণ ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য মাহমুদুর রহমানের মতো লোকদের বাঁচিয়ে রাখা জরুরী। সততা, দেশপ্রেম ও সাহসের প্রমাণ রেখে তিনি এখন বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের আস্থার প্রতীক। মাহমুদুর রহমানের মত দেশপ্রেমিক, সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বই চায় দেশে মানুষ।
‘মাহমুদুর রহমানের উপর রাষ্ট্রীয় অন্যায় অবিচার ও নীপিড়ন ও ২ বছর ধরে দৈনিক আমার দেশ বন্দুকের নলের মুখে বন্ধ রাখার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
কমিউনিটির প্রবীন নাগরিক সাংবাদিক আবু তাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও যুক্তরাজ্য সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এমএ মালিক, অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদের সালেহ, মুফতি শাহ সদরুদ্দীন, ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ড. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ইউরোপভিত্তিক সংগঠন সিটিজেন মুভমেন্টের আহ্বায়ক এম এ মালেক, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেস্টা ব্যারিস্টার এমএ সালাম, শেখ নিউজ ডট কম-এর প্রধান সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার নাশিদ রহমান, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ যুক্তরাজ্য শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকা সম্পাদক তায়সির মাহমুদ, যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার তারিক বিন আজিজ, সদস্য সচিব সলিসিটর বিপ্লব পোদ্দার, সদস্য ব্যারিস্টার তমিজ উদ্দিন, ব্যারিস্টার আলিমুল হক লিটন, ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দি লিটন, সাংবাদিক শামসুল আলম লিটন, যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত আমার দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি অলিউল্লাহ নোমান ও সিনিয়র রিপোর্টার এম মাহাবুবুর রহমান। সমাবেশ পরিচালনা করেন আমার দেশ-এর যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী। আরো উপস্থিত ছিলেন গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. এম মুজিবুর রহমান, প্রকৌশলী রেজাউল করিম, ব্যারিস্টার একরামুল হক, ব্যারিস্টার লিটন আফিন্দি, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন, ব্যারিস্টার আশরাফুল আলম চৌধুরী, ব্যারিস্টার একেএম হাসনাত, অ্যাডভোকেট আলী আকবর, অ্যাডভোকেট মিঠু, সাংবাদিক নাজমুল হোসাইন, আবু আলাউদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা জাকির কাবেরী, ছাত্রদল নেতা আমিনুল ইসলাম, রাজিব আহমেদ প্রমুখ।
সরকারের দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে নির্যাতন চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে প্রফেসর ড. এমএ মালিক বলেন, সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসন করছে। দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এই সরকার শুধু আমার দেশ বন্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি, সম্পাদক ও মিডিয়ার লোকদের গ্রেফতার করে নির্যাতন চালাচ্ছে। ইসলামিক টিভি ও দিগন্ত টিভিও বন্ধ করেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখন গণমাধ্যমে হামলা করে। ’৭৫-এ সংবাদপত্র বন্ধ করেছিল। তারও আগে মওলানা ভাসানীর হক কথা বন্ধ করেছিল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কাছে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চাওয়ার কিছু নেই। অবৈধ সরকারকে হটিয়েই পুরো বাংলাদেশের মানুষদের মুক্ত করতে হবে।
প্রফেসর ড. কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ক্ষমতায় এলেই আওয়ামী লীগের প্রথম কাজ পত্রিকা বন্ধ করা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা। মানুষকে সত্য কথা বলতে দেয় না। তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। বর্তমানে অধিকাংশ সংবাদপত্রের মালিকানাই তাদের। এভাবে গণমাধ্যমে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ও বিরোধী গণমাধ্যম বন্ধ করার নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি চুড়ান্ত বাকশাল প্রতিষ্ঠার পথে শেখ হাসিনা।
এম এ মালেক বলেন, বিচার ব্যবস্থা সরকারের বন্দুক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় মাহমুদুর রহমান নিজের জামিনের জন্য আর আবেদন করবেন না। কারণ শেখ হাসিনার বিচার বিভাগে তাকে জামিন দেয়ার অধিকার বিচারকরা রাখেন না। মাহমুদুর রহমানের শাস্তির বিরুদ্ধে আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়েরের সুযোগ পর্যন্ত তাকে দেয়া হয়নি। আজকের ভুলুন্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয় বীর এই সম্পাদকের নেতৃত্ব খুবই জরুরী।
শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে। এ জন্য দরকার টার্গেটভিত্তিক একটি সুপরিচালিত গণআন্দোলন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ কারাগারে পরিণত হয়েছে। সেখানে মাহমুদুর রহমানের মতোই ১৬ কোটি মানুষ বন্দী। এই বন্দী দশা বেশী দিন চলতে পারে না।
মাওলানা আবদুল কাদের সালেহ বলেন, স্বৈারাচারি শেখ হাসিনার কাছে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চেয়ে লাভ হবে না। আমাদের আস্থার এই বাতিঘরকে মুক্ত করতে কারাগার ভাঙার সংগ্রাম করতে হবে। মাহমুদুর রহমান ও আমাদের মাঝখানে একটি দেয়াল তৈরি করে দিয়েছে সরকার। এ দেয়াল ভাংতে হবে। মিডিয়ার মধ্যে দালাল অংশকে বুঝতে হবে, রংহেডেড বাঘ কখন কাকে খাবে, কেউ বুঝতে পারবেন না।
মুফতি মাওলানা সদরুদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের আপামর জনতার লড়াইয়ের মাধ্যমেই শেখ হাসিনার বিদায় হবে। অবৈধ ক্ষমতাকে তিনি যতো বেশী প্রলম্বিত করবে, তার বিদায় ততো করুণ হবে।
ব্যারিস্টার এমএ সালাম বলেন, মাহমুদুর রহমান একজন নির্ভীক কলম সৈনিক। আজকে আমরা যে বৃহত্তর লড়াইয়ে আছি, কলমের মাধ্যমে অনেক আগেই তিনি তা শুরু করেছিলেন। তাঁর মুক্তি এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এখন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমেই দেশপ্রেমিক এই সম্পাদককে মুক্ত করে আনা হবে।
ব্যারিস্টার নাশিদ রহমান বলেন, দেখতে দেখতে মাহমুদুর রহমানের কারারুদ্ধের দুই বছর পার হয়ে গেলো। দেশে মুক্তবুদ্ধির প্রয়াসকে বন্ধ করে দিতে যে স্বৈরাচারী চেষ্টা চলছে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার ও আমার দেশ বন্ধ তারই প্রয়াস মাত্র। মাহমুদুর রহমানকে যেভাবেই দেখা হোক, মূলত: তিনি দেশের পক্ষে এবং সব ধরণের দুর্নীতি ও অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তিনি জাতীয় বীর।
ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ আজ কারাগারেব বন্দি। মাহমুদুর রহমানের সংগ্রামটা আজ সকল বাংলাদেশী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি কারাবন্দী থাকায় এই লড়াই সমন্বয়কের অভাব দেখা দিয়েছে।
নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ বলেন, অন্যায় ও অবিচারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন মাহমুদুর রহমান। এজন্য তিনি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়েছেন। সরকার অন্যায়ভাবে আমার দেশ বন্ধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করেছে তাই অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। জোরালো লড়াই ছাড়া মুক্তি হবে না।
তায়সির মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার কাছে আজ গণমাধ্যম অসহায়। সবার মুখ নিয়ন্ত্রিত। বন্দুকের নল দিয়ে মিডিয়া শাসন করে কেউ বেশী দিন টিকতে পারেনি। শেখ হাসিনাও পারবেন না। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় মাহমুদুর রহমানের জীবন সঙ্কটাপন্ন। দ্রুত তাকে মুক্ত করতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
ব্যারিস্টার তারিক বিন আজিজ বলেন, মাহমুদুর রহমান একটি আদর্শের নাম। তাঁর লড়াই বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষকে আন্দোলিত করেছে। তিনি ৮/১০ বছর আগে যা বলেছেন-লিখেছেন, আজকে জাতি তা বাস্তবে ভোগ করছে। ব্যাক্তি মাহমুদুর রহমানের জ্ঞানের প্রাচুর্য, সততা ও অসীম সাহসের বিষয়টি অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ যখন সিকিম হওয়ার দ্বারপ্রান্তে, তখন সাহসের বাতিঘর মাহমুদুর রহমানের দৃঢ়তা আমাদের আস্থার সৃষ্টি করে। তিনি যতোদিন বেঁচে থাকবেন, বাংলাদেশ তাবেদার হবে না।
সলিসিটর বিপ্লব পোদ্দার বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে গণতন্ত্র হত্যার কলকাঠি কারা নাড়ছে, তা নিশ্চিত হয়েই লড়াইটা গড়ে তুলতে হবে। অপশক্তির টার্গেট এবং অপকৌশলকে ধারণায় নিয়েই আমাদের কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। সেটা সম্ভব হলেই কেবল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব। স্বাধীনতা রক্ষা সম্ভব। মাহমুদুর রহমান সহ বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মুক্তি সম্ভব।
ব্যারিস্টার তমিজ উদ্দিন বলেন, আমার দেশ মানে আমাদের মাহমুদুর রহমান দেশের শক্তি। তিনি এটা প্রমাণ করেছেন। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ব্যক্তি মাহমুদুর রহমানের দেশপ্রেম ঢাল হিসেবে কাজ করছে।
ব্যারিস্টার আলিমুল হক লিটন বলেন, মাহমুদুর রহমানের অসম সাহস ও সততা আমাদের কাছে আদর্শ। নতুন প্রজন্মকে এই আদর্শ ধারণের সুযোগ করে দিতে হবে। মাহমুদুর রহমানকে মুক্ত করে আনতে হবে। তাঁর আহ্বান সকল রাজনীতিক, সমাজসেবী ও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।
সাংবাদিক শামসুল আলম লিটন বলেন, মহান ব্যক্তিদের আবির্ভাব হয় নানা যুগসন্ধিক্ষণে। আমার মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশে গণমানুষের কন্ঠস্বর হিসেবে সম্পাদক আবদুস সালামকে দেখেছি। আর আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা যখন সংকটের মুখোমুখি, তখন মাহমুদুর রহমানের মতো একজন অসীম সাহসী সম্পাদক আমাদের পথ দেখিয়েছেন।
আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের রোষানলের কারণ ও নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেন সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান। তিনি বলেন, কেবল প্রধানমন্ত্রীর পরিবার সহ সরকারের দুর্নীতি প্রকাশ ও বাকশাল কায়েমের পথে বাধা হয়ে দাড়ানোর কারণেই জননন্দিত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আজ কারাগারে।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে অলিউল্লাহ নোমান মাহমুদুর রহমানের জীবেরন উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম গুলো স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মাহমুদুর রহমান হচ্ছে বর্তমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক। মাহমুদুর রহমানকে বাদ দিয়ে বর্তমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাস লেখা যাবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমান ছিলেন সোচ্ছার। তাঁর আপসহীন মনোভাব সততা ও নিষ্ঠাই জনগনের মনে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান আধিপত্যবাদের বিষয়ে সবাই যখন নীরব, মাহমুদুর রহমান ছিলেন প্রতিবাদে সরব। ইন্ডিয়ান আধিপত্যবাদের থাবার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করতে তিনি ঢাকা থেকে তামাবিল, ঢাকা থেকে আখাউড়া সীমান্তে লংমার্চ করেছিলেন। তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা ছিল দুর্নীীত, দু:শাসনের বিরুদ্ধে সরব।
সাংবাদিক এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, গণতন্ত্র হত্যা এবং মাহমুদুর রহমানের কারাজীবন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। গণমাধ্যমে ভয়ের শাসন নিশ্চিত করেই গণতন্ত্র হত্যার পথে হেঁটেছেন শেখ হাসিনা। তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন যত দ্রুত সফল হবে, ততো দ্রুত জননন্দিত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মুক্তি পাবেন। তাই আসুন, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্ত-শপথে আমরা লড়াই গড়ে তুলি। ফ্যাসিবাদের বিদায় নিশ্চিত করি। মাহমুদুর রহমানকে মুক্ত করি। বাংলাদেশের জনগণকে মুক্ত করি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button