জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ ও গায়েবানা জানাজা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের পর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ দপ্তরের সামনে গায়েবানা জানাজা আদায় করেছে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকান প্রগ্রেসিভ ফোরাম-বাপফ’।
স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ২টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে অনুষ্ঠিত এই গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন বাংলাদেশ আমেরিকান রাইটার্স ফোরাম ও হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশের পক্ষে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন।
এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে বক্তব্য রাখেন সংগঠনগুলোর নেতারা।
বাংলাদেশ আমেরিকান প্রগ্রেসিভ ফোরামের সভাপতি আবদুল্লাহ-আল আরিফের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সেক্রেটারি মাহবুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন।
সমাবেশে উপস্থিতি ছিলেন—আবদুল্লাহ আল আরিফ, শিক্ষাবিদ আবুসামীহাহ সিরাজুল ইসলাম, আবু আহমেদ উবাইদা, মাওলানা সাফায়েত হোসেন, মোহাম্মদ নঈমুদ্দিন, সাইফুল্লাহ বেলাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সরকার দেশে ইসলামী নেতৃত্ব শেষ করে দেওয়ার লক্ষ্যে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দেয়া ন্যায়ভ্রষ্ট ফাঁসির রায় কার্যকর করেছে। এটা বিচার বিভাগীয় হত্যাকান্ড। বক্তারা বর্ষীয়ান এ নেতার ফাঁসির তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, মো: কামারুজ্জামান সর্ম্পূন নির্দোষ। যে অভিযোগের ভিত্তিতে সরকার তাকে মৃত্যদন্ড দিয়েছে, সেগুলো ভুয়া। কামারুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন ১৮ বছরের ছাত্র ছিল। এ বয়য়ে একজন ছাত্র রাজাকারের কমান্ডার ছিল এটা র্নিলজ্জ্ব মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই না। বিচারে যে সোহাগপুরের কথা বলা হয়েছে, তিনি (কামারুজ্জামান) স্বাধীনতার যুদ্ধের পর্বে কখনও সে গ্রামে যাননি এবং চিনেনও না। একটা কল্পকাহিনী তৈরী করে সরকার ইসলামি নেতৃত্ব ধবংস করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থে জাতীয় এ নেতাকে হত্যা করেছে। তারা বলেন, কামারুজ্জামানের ফাঁসিতে ‘সমগ্র জাতি শোকাহত’। তিনি ইসলামী আন্দোলনে বড় নেতাই নন বরং একজন বড় মাপের দেশ প্রেমিক ও বুদ্ধিজীবি ছিলেন। বক্তারা বলেন, কামারুজ্জামান মৃত্যুহীন প্রাণ। তরুণ প্রজন্মের পথপ্রদশর্ক। যতদিন ইসলামী আন্দোলন থাকবে,ততদিন জাতি শ্রদ্ধার সাথে তাকে স্মরণ করবে। সমাবেশে কামারুজ্জামানের বিচারিক এ হত্যাকে শাহাদাতের মর্যাদায় স্থান দেয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন বক্তারা বলেন, জাতি একদিন এ প্রতিহিংসামুলক হত্যাকান্ডের বিচার করবেই।