দিল্লিতে আবার তরুণী ধর্ষণ
দিল্লিতে আবার তরুণী ধর্ষণ। রাজধানীর রাজপথে এবার ধর্ষণের শিকার হলেন বত্রিশ বছরের এক তরুণী। অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তির নাম রমেশ কুমার। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পশ্চিম দিল্লির দ্বারকা মোড় মেট্রো স্টেশন থেকে হলুদ বর্ডার দেয়া কালো ট্যাক্সিতে ওঠেন ওই তরুণী। যাচ্ছিলেন মধু বিহারে। সেখানেই তার বাড়ি, রাজৌরি গার্ডেনসের একটি শপিং মলের কর্মী ওই তরুণী। পুলিশকে দেয়া তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালক তার সঙ্গে আরও এক যাত্রীকে ট্যাক্সিতে তোলে। সেই ব্যক্তিকে রাজাপুরীতে নামিয়ে দেয়ার পর গ্যাস ভরানোর ছুতোয় তাকে নিয়ে যায় একটি নিরিবিলি জায়গায়। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে, তার মাথায় ও মুখে এলোপাথাড়ি ঘুষি মারে রমেশ। সেই সময় ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে স্কুটার নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। তরুণীর চিৎকার শুনে সন্দেহ হওয়ায়, দিল্লি পুলিশের একটি টহলদার ভ্যানকে সতর্ক করেন তিনি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের গাড়িটি ঘটনাস্থলে চলে গেলে, তরুণীকে নিয়েই পালানোর চেষ্টা করে ওই ট্যাক্সিচালক। প্রায় আধা কিলোমিটার পিছু ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। আটক ট্যাক্সিচালকের বাড়ি নজফগড়ে। অপর খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলায় একই সাথে বাবা-চাচা ও ভাইয়ের হাতে ধর্ষিত হয়েছেন এক তরুণী। ১৬ বছর বয়সী ওই তরুণী স্থানীয় ধূপগুড়ি পুলিশ স্টেশনে গত দুই বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে ওই তরুণী আরো বলেছেন, তিনি দুইবার অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। চারবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তবে এসব ঘটনায় মায়ের কাছ থেকে কোনো সাহায্য পাননি তিনি। উল্টো মা বলেছেন, তারা অচেনা কেউ নয়, তোমারই বাবা, চাচা ও ভাই। বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর তার ভাই তাকে ধর্ষণের জন্য হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করেছিল। পরে ধর্ষিত ওই তরুণী লোমহর্ষক ঘটনা তার শিক্ষককে জানান। শুক্রবার তার শিক্ষক এবং স্কুলের প্রিন্সিপাল তাকে ধূপগুড়ি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন।