ইউরোপের মানুষ আগে ফর্সা ছিলনা !
ইউরোপের মানুষ আগে কিন্তু এমন সাদা চামড়ার ফর্সা ছিলনা ! আজ থেকে আট হাজার বছর আগে অনেক অন্যরকম ছিল তারা৷ এটা কারো মন্তব্য নয়, রীতিমতো গবেষণা করে তা জানা গেছে৷এমনি একটি খবর প্রকাশ করেছে জার্মান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েস।
ডিএনএ পরীক্ষা যা বলে: প্রত্নতাত্ত্বিকদের খুঁজে পাওয়া খুব প্রাচীন ৮৩টি মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করে গবেষকরা জেনেছেন, ইউরোপে প্রথমে যারা এসেছিল তারা কালোই ছিল৷ ৮ হাজার বছর আগে মূলত তিন শ্রেণির মানুষ এসেছিল ইউরোপে৷ তিন শ্রেণির মধ্যে শিকারি এবং কৃষকও ছিল৷ এবং তারা এখনকার ইউরোপীয়দের মতো ফর্সা ছিলনা৷
জিনের কারণে: পপুলেশন জেনেটিকস বিশেষজ্ঞ ইয়ান ম্যাথিসন এবং ডেভিড রাইখ প্রাচীন জেনোমের সঙ্গে আধুনিক জেনোমের পার্থক্য বোঝার চেষ্টা করেছেন৷ এ প্রক্রিয়ায় তারা প্রাচীন ইউরোপের মানুষদের মাঝে ৫টি এমন জিনের উপস্থিতি দেখেছেন যেগুলো মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং ত্বকের রং পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।
সূর্যের ভূমিকা: ইউরোপের মানুষের গায়ের রং বদলানোর পেছনে সূর্যেরও ভূমিকা আছে৷ সাড়ে আট হাজার বছর আগে ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যালোকের তীব্রতা বেশি ছিল৷ তাই স্পেন, লুক্সেমবুর্গ এবং হাঙ্গেরির মতো দেশগুলোতে শিকারীদের গায়ের রং অপেক্ষাকৃতভাবে কালো৷ তাদের দেহে এসএলসি২৪এ৫ এবং এসএলসি ৪৫এ২ জিন নেই৷ এ কারণেই তাদের গায়ের রং অধিকাংশ ইউরোপীয়র গায়ের রংয়ের মতো এত ফ্যাকাসে নয়৷
নীল চোখ: ইউরোপের উত্তরে আলোর তীব্রতা কম, যা কিনা রং ফর্সা বা ফ্যাকাসে করে দেয়৷ গবেষকরা সুইডেনে ৭ হাজার ৭০০ বছর আগের এমন সাতটি নমুনা দেখেছেন যা দেখে তারা নিশ্চিত, সেখানে মানুষের দেহের রং তখনো ফর্সা ছিল এবং চোখ ছিল নীলচে৷
মিশ্রণ: ইউরোপে কৃষক এসেছিল এখনকার তুরস্ক থেকে৷ তারাও পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে৷