ইয়েমেনে বিদ্রোহীদের ওপর জাতিসংঘের ‘নিষেধাজ্ঞা’
ইয়েমেনে চলমান সংকট নিরসনে হুথি বিদ্রোহী ও তাদের সহযোগী বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর ওপর ‘অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করেছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে নিষেধাজ্ঞার খসড়া উপস্থাপন শেষে ভোটাভুটির মাধ্যমে এ তা অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ১৩ ভোটে বিলটি পাস হয়।
এদিকে, পুরো ইয়েমেনের ওপরই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত মন্তব্য করে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়া।
জানা গেছে, ইয়েমেনে সংকট নিরসনে এই নিষেধাজ্ঞায় তাৎক্ষণিক ও শর্তহীনভাবে সকল ধরণের সহিংসতা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্রোহীদের। সেই সঙ্গে রাজধানী সানাসহ ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের থেকে ইয়েমেনের যেসকল এলাকা তারা দখল করেছে, সেসব এলাকা থেকেও সরে যেতে বলা হয়েছে। শর্তপূরণ না হওয়া পর্যন্ত ইয়েমেনে হুথি ও তাদের সহযোগী বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই বিলে।
সেই সঙ্গে সাবেক ইয়েমেনী প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহের ছেলে আহমেদ সালেহ ও হুথি শীর্ষ নেতা আব্দুলমালিক আল-হুথির দেশের বাইরে যেকোনো স্থানে ভ্রমণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আহমেদ সালেহ ইয়েমেনের এলিট ফোর্স রিপাবলিকান গার্ডের সাবেক প্রধান।
নিষেধাজ্ঞা বিলের বিস্তারিততে বলা হয়েছে, ইয়েমেন সেনাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সকল অস্ত্র ও মিসাইল ফিরিয়ে দিতে হবে বিদ্রোহীদের। সেই সঙ্গে হামলা বন্ধসহ দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও আটক সকল রাজনৈতিক নেতাকেও মুক্তি দিতে হবে।
এর আগে গত বছর নভেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহ, দুই ঊর্ধ্বতন হুথি নেতা আব্দ আল-খালিক আল-হুথি ও আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া আল হাকিমকে কালো তালিকাভুক্ত করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।