নতুন সমীকরণ : আসাদকে হটাতে একজোট হচ্ছে তুরস্ক-সৌদি

পরস্পর বিরোধের দীর্ঘ ইতিহাস পেছনে ফেলে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম দুই শক্তিশালী দেশ সৌদি আরব এবং তুরস্ক এখন সিরিয়া ইস্যুতে এক সাথে কাজ করার দিকে এগোচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একটি সামরিক জোট গঠনের লক্ষ্যে দেশ দুটির মধ্যে বর্তমানে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চলছে।
উপসাগরীয় দেশ কাতার এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে। আলোচনার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এই যৌথ উদ্যোগে তুরস্ক স্থল অভিযানের জন্য সৈন্য দেবে আর সৌদি আরব অংশ নেবে বিমান হামলায়। অভিযানের লক্ষ্য হবে আসাদকে হটাতে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া মধ্যপন্থী সিরিয়ান বিরোধীদের সহযোগিতা করা।
গত ফেব্রুয়ারিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি হোয়াইট হাউজ সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ওবামাকে এ ব্যাপারে অবগত করেন। অবশ্য হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
মার্কিন প্রশাসন সাধারণভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, বিশেষ করে সিরিয়া ইস্যুতে আরো সক্রিয় হয়ে নিজেদের উদ্যোগে কিছু করতে উপসাগরীয় দেশগুলোকে উৎসাহিত করছিল। কিন্তু এসব কথা আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল, বাস্তবে কিছু এগোয়নি।
চলমান আলোচনা কি ওইসবের চেয়ে ভিন্ন হয় কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সম্প্রতি ইয়েমেনে সৌদির হস্তক্ষেপ এই বার্তা দিচ্ছে যে, দেশটি বাইরের শক্তিগুলোর সহায়তার উপর নিভর করার চেয়ে নিজের ক্ষমতার ওপর জোর দিচ্ছে।
কাতারের আমিরের সাথে বৈঠকের পর ওবামা বলেছিলেন, আসাদকে সরানোর ক্ষেত্রে দুই নেতার চিন্তাভাবনা প্রায় একই রকম। ওবামা বলেন, আমার উভয়েই সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা দেশটির মধ্যপন্থী বিরোধীদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবো এবং একই সাথে এটা বিশ্বাস করি যে, নিজের বৈধতা হারানো আসাদকে না সরানো পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত হবে না।
তিনি আরো বলেন, এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও কিভাবে সেই লক্ষ্য অর্জন করা যাবে সে বিষয়ে আমরা (ওবামা ও শেখ তামিম) মতবিনিময় করেছি।
এই মন্তব্যের পর সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস)বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি মধ্যপন্থী বিরোধীদের বাছাইকৃত সদস্যদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কিভাবে আসাদকে সরানো হবে তার কোনো কৌশল প্রকাশ্যে বলছে না দেশটি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সৌদি ও তুরস্কের মধ্যকার আলোচনা সফলভাবে এগোলে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন মিলুক বা না মিলুক তারা সিরিয়ায় হস্তক্ষেপে যাবেই।
হাফিংটন পোস্ট এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সৌদি ও তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করা হলে উভয় দেশই তাদের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়।
‘ন্যাশনাল কোয়ালিশন অব সিরিয়ান রেভুল্যুশন অ্যান্ড অপজিশন ফোর্সেস’ এর ওয়াশিংটন অফিসের চীফ অব স্টাফ ওউবাব খলিল মুসলিম দেশ দুটির এরকম আলোচনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তিনি আশা করছেন আসাদকে সমঝোতার টেবিলে নিয়ে আসতে বাধ্য করার ক্ষেত্রে বিরোধীদের সমর্থনে আলোচনার ফলাফল কাজ দেবে।
খলিল আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করা এবং আসাদকে বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও সবপক্ষের সম্মিলনে গঠিত একটা দেশ।
তুরস্কের সেনাবাহিনী এই অঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী হিসেবে পরিচিত। ইসলামিক স্টেটের বাইরে আসাদের বিরুদ্ধে লড়তে থাকা যোদ্ধাদের সমর্থন দিতে তুরস্কের সামরিক সহায়তা চায় সৌদি। দেশটির বিভিন্ন এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গৃহযু্দ্ধে সমাপ্তি টানা এবং ক্ষমতা ছাড়তে আসাদকে বাধ্য করাই উদ্দেশ্য।
তুরস্কও আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পক্ষে। তবে তারা নন-আরব হওয়ার কারণে সৌদি আরবের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো বড় ভূমিকা নিতে আগ্রহী নয়। আসাদের বিরুদ্ধে কিছু না করে সিরিয়া ও ইরাকে শুধু আইএসের ওপর হামলা চালিয়ে যাওয়ার কারণে তুর্কি নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনায় করেছেন।
সিরিয়ার ব্যাপারে যৌথ কোনো উদ্যোগ বিষয়ে যে আলোচনা চলছে তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল গত ২ মার্চ সৌদি আরব সফরে বাদশাহ সালমানের সাথে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বৈঠকের পরই। তখনই উভয়ে সিরিয়ার বিরোধীদের শক্তিশালী করতে একটা চুক্তির ঘোষণা দেন। তবে চলমান উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার খবরটির মাধ্যমেই আসাদের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত পাওয়া গেল।
সম্প্রতি এরদোগানের গৃহীত কিছু পদক্ষেপও বলছে তিনি সিরিয়ান স্থল অভিযানের চিন্তাভাবনা করছেন। সৌদি বাদশাহর সাথে সাক্ষাতের কয়েক সপ্তাহ পরেই তিনি কাতারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছেন। এর ফলে দেশ দুটি প্রয়োজনে যে কোনো সময় একটির সৈন্য অন্যটিতে মোতায়েন করতে পারবে। তুরস্কের বিরোধী দলীয় রাজনীতিকরাও ধারণা করছেন, শিগগিরই সিরিয়ায় তাদের দেশের সৈন্য পাঠানো হবে।
নতুন এই পদক্ষেপের ক্ষেত্রে তুরস্কের ঘনিষ্ট মিত্র মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সৌদির আরবের বিরোধীতা কমিযে নিয়ে আসতে হচ্ছে।
লন্ডন ভিত্তিক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ অ্যারন স্টেইন বলেন, বর্তমান বাদশাহ আগের বাদশাহর চেয়ে ব্রাদারহুডকে ভিন্নভাবে দেখেন বলেই গত মার্চে এরদোগান ও সালমানের মধ্যকার বৈঠকটি হতে পেরেছে।
তার মতে, সিরিয়া ইস্যুতে সালমান তুরস্ক এবং কাতারকে তার দেশের সঙ্গে রাখতে চাচ্ছেন, যেটা সৌদির বিদেশনীতিতে একটি পরিবর্তন। এর মাধ্যমে একই সাথে আসাদ এবং আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ইসলামপন্থীদেরকে ঐক্যবদ্ধ করা যাবে।
‘তিনি হয়তো ব্রাদারহুডকে অপছন্দ করেন। কিন্তু বাদশাহ বুঝতে পেরেছেন যে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাওয়ার মানে হচ্ছে আরব বিশ্বকে বিভক্ত করে ফেলা এবং ইরান ও আসাদকে দমনের ক্ষেত্রে ঐক্য নষ্ট করা। চার বছর আগে গৃহযুদ্ধ শুরুর প্রথম দিক থেকেই আঙ্কারা এবং রিয়াদ আসাদের ব্যাপারে অভিন্ন চিন্তা করে এলেও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে মতভিন্নতার কারণে দুইপক্ষ এতদিন ধরে দ্বান্দ্বিক অবস্থানে ছিল।
২০১৩ সালে তৎকালীন মিশরীয় সেনাপ্রধান ব্রাদারহুড নেতা ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের জড়ো করে ক্যু এর মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। তার কয়েক মাসের মধ্যেই দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভরত শত শত ব্রাদারহুড নেতাকর্মীদের হত্যা করে। পাশাপাশি দলটির হাজার হাজার সমর্থকসহ বহু শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং সেক্যুলার অ্যাক্টিভিস্টকেও জেলে ভরা হয়।
সৌদি আরব তখন এসব আচরণকে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই’ বলে বাহবা দিয়েছিল। এছাড়া ক্যু করার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব সহযোগিতা বন্ধ হবে তার জন্য সিসিকে সামরিক এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণও দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন বাদশাহ আবদুল্লাহ।
কিন্তু তুরস্ক সিসির যাবতীয় কার্যক্রমকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করে তাৎক্ষণিকভাবে মিশরের সাথে চলমান সামরিক মহড়া বাতিল করে। ব্রাদারহুডকে সিসি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণার পর এরদোগান ব্যক্তিগতভাবে সংগঠনটির নেতাদের তুরস্কে আশ্রয় দেন। ক্যু’র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উভয় দেশই নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নেয়।
এরপর ২০১৪ সালের জুলাইয়ে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলাকে কেন্দ্র করে সৌদি-তুরস্ক সম্পর্কের ফাটল আরো গভীর হয়।
এই হামলায় সৌদি আরব মিশর, জর্দান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাইলের কোনো ধরনের প্রকাশ্য সমালোচনা থেকে বিরত ছিল। এই হামলা বন্ধে জুলাই মাসেই মিশর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিল। ধারণা করা হয়, ওই চুক্তিতে প্রকৃতপক্ষে ইসরাইলের স্বার্থরক্ষা এবং গাজা থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়ার হামাসের মূল দাবিটি উপেক্ষা করা হয়। মিশরের ওই প্রস্তাবে সৌদি আরব সমর্থন দিয়েছিল।
কিন্তু এরদোগান হামলাকে ‘ইসরাইলের চালানো গণহত্যা’ বলে আখ্যা দিয়ে মিশরের যুদ্ধবিরতি উদ্যোগের বৈধতা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেছিলেন, সিসি এই উদ্যোগ নিতে পারে না। কারণ, সে নিজেই একটা নৃশংস ক্যু’র হোতা। গাজা উপত্যকার রাস্তা বন্ধ করে সিসি হামাসের জন্য পাঠানো খাবার এবং সাহায্য আটকে দিয়েছে।
মুসলিম ব্রাদারহুড এবং হামাসকে সমর্থন করার কারণে এরদোগানকে ‘শায়েস্তা’ করতে অতি সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তুরস্কের অস্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছিল সৌদি আরব ও মিশর।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে বিরোধিতা করে এলেও সম্প্রতি ইয়েমেনে হামলায় জড়িত হওয়ার পর থেকে ব্রাদারহুডের সাথে সৌদির সম্পর্ক বেশ জঠিল আকার ধারণ করেছে। হুথিদের বিরুদ্ধে লড়তে মাঠে যে সমর্থন দরকার ইয়েমেনে তা দেয়ার মতো শক্তি সংগঠিত ব্রাদারহুডের রয়েছে।
অন্যদিকে, মিশরে বর্তমান সরকার সাধারণভাবে ‘রাজনৈতিক ইসলাম’ এর ওপর দমনমূলক নীতিতে বিশ্বাসী। ফলে ইয়েমেনে ব্রাদারহুডের সাথে এবং সিরিয়ায় তুরস্কের সাথে কাজ করতে সৌদির আগ্রহ মিশরের সাথে দেশটির সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করতে পারে।
সামনের বসন্তে ক্যাম্প ডেভিডে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট ওবামার সাথে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর প্রধানদের বৈঠকের আগে সিরিয়ায় কোনো যৌথ হস্তক্ষেপে যাবে না সৌদি আরব ও তুরস্ক। বৈঠকে ওবামা ইরানের পরমাণু ইস্যুতে হওয়া সমঝোতার ব্যাপারে আরব নেতাদের সৃষ্ট সন্দেহগুলো দূর করতে চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি সিরিয়া ও ইয়েমেন ইস্যুত আরো সহযোগিতার বিষয়েও আলাপ হবে।
কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টিই নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সৌদি আরব এবং তুরস্ককে উৎসাহিত করছে।
ছয় জাতির সাথে পরমাণু বিষয়ক সমঝোতায় পৌঁছার আগেই ইরাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়তে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান সমর্থিত যোদ্ধারা পরোক্ষভাবে মিত্রতা গড়ে তুলে। শিয়া মিলিশিয়াদের সমর্থন দিয়ে আইএস’র কাছ থেকে ইরাকের বিভিন্ন এলাকা পুনরুদ্ধার করতে ইরান সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে।
ঝুঁকি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান আইএইচএস’র এর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সিনিয়র ব্যবস্থাপক ফিরাস আবি আলী মনে করেন, সৌদি আরব এবং তুরস্কের মধ্যে যে মিত্রতা হতে যাচ্ছে তা প্রকৃতপক্ষে ইরানের সাফল্যের প্রেক্ষিতেই হচ্ছে।
আলী বলেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ইরান বাশার আল-আসাদকে আরো বেশি সহায়তা করতে পারবে। নিষেধাজ্ঞার ফলে এতদিন ‘এক হাত পেছনে বাধা’ অবস্থায় আসাদকে সমর্থন দিয়ে গেছে।
এই বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদি আরব এবং তুরস্ক এটা বুঝতে পারবে যে, আরো বেশি ইরানি সহযোগিতার মোকাবিলায় তাদের আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুতি নিতে হবে।
মার্কিন-ইরানি চলমান মিত্রতার ফলে সুন্নী প্রধান উপসাগরীয় অঞ্চলে এই ধারণা জন্ম নিচ্ছে যে, তাদের নিজেদেরও মিলিশিয়া বাহিনী দরকার।
সৌদি ও তুরস্কের প্রসঙ্গে ফারিস আলী বলছেন, আমরা দেখছি এই শক্তিগুলো নিজেদেরকে বড় হুমকির মুখে মনে করছে। এর ফলে তাদের ভবিষ্যত কার্যক্রম সম্পর্কে আগ বাড়িয়ে কিছুই বলা যাবে না। কিছুদিন আগেও যে ধরনের ঝুঁকিকে তারা অনেক বড় করে দেখছিল অব্যাহত হুমকি এখন সেই ঝুঁকি গ্রহণে তাদের ইচ্ছুক করে তুলছে। কারণ, এর মাধ্যমে তাদেরকে রক্ষা করতে হবে।
একটি উপসাগরীয় সূত্র বলেছে, ‘দাঁত দেখানোই যদি যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের সাথে পাওয়ার একমাত্র উপায় হয়, তবে আমরা দাঁতই দেখাবো। আর আমাদের দাঁত কিন্তু খুব ধারালো !’
হাফিটন পোস্ট-এ প্রকাশিত ‘Saudi Arabia, Turkey Discussing Unlikely Alliance To Oust Syria’s Assad’ শীর্ষক নিবন্ধ অবলম্বনে

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button