‘ফাঁসি বন্ধে অনেক উঁচু থেকে অনুরোধ এসেছে’
‘আমরা একাত্তরের মানবতা-বিরোধীদের রায় কার্যকর করতে শুরু করেছি। রায় কার্যকর করতে গিয়ে কত উঁচু জায়গার টেলিফোন, ফাঁসি যেন দেয়া না হয়, সেই অনুরোধ পর্যন্ত করা হয়েছে।’ বুধবার গণভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা অদ্ভুত বিষয়, আমি সব সময় দেখি—অপরাধীদের জন্য সবার মায়াকান্না। আর এই অপরাধীদের হাতে যারা জীবনটা দিল, তাদের জন্য অত দুঃখ নাই!’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে ফাঁসি নিয়ে এত কথা হচ্ছে। ফাঁসি কি হচ্ছে না? ফাঁসি কি হয় নাই? ঈদের দিনে সাদ্দামকে ফাঁসি দিল। যারা ফাঁসির বিরুদ্ধে এত কথা বলে, তারাইতো আবার সাদ্দামের ফাঁসি দেখে হাততালি দিয়ে খুশি হয়।’
শেখহাসিনা বলেন, ‘সাদ্দাম যে অপরাধ করেছে, ওই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বা তাদের দোসর আল-বদর, রাজাকার, আল-শামস—তারাও কি একই অপরাধ করেনি বাংলাদেশে? তার থেকে জঘন্য অপরাধই তো তারা করেছে। তাহলে তাদের অপরাধটা অপরাধ না কেন? এ দেশের মানুষের কি জীবনের মূল্য নেই? এ দেশের মানুষের কোনো অধিকার নাই বিচার চাওয়ার?’
মতবিনিময়ে অন্যদের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুক হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শাসসুজ্জামান খান, লেখক সেলিনা হোসেন, সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী, বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল, উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, মামুন-অর-রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।