ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে ৪শ’ অভিবাসীর মৃত্যু
ভূমধ্যসাগরে লিবিয়া উপকূলে রোববার একটি নৌকা ডুবে ৪শ’ অবৈধ অভিবাসি প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় জীবিতদের ইতালি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সোমবার ইতালির উপকূল রক্ষীরা জানায়, তারা ডুবে যাওয়া নৌযান থেকে ১শ’ ৪৪ জনকে উদ্ধার করেছেন। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ৯টি মৃতদেহ। নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সময় সেখানে ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫শ যাত্রী ছিল।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন এবং দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিল্ড্রেন জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনা কবলিত নৌযানটির উদ্ধার করা আরোহীদের ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় রেগিও ক্যালাব্রিয়ায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
জীবিতদের উদ্ধৃতি দিয়ে সেভ দ্য চিলল্ডেন এক বিবৃতিতে জানায়, নৌযানটির ধ্বংসস্তুপের ভেতর প্রায় ৪শ জনের মৃতদেহ রয়েছে। এটি লিবিয়া উপকূল ছেড়ে আসার ২৪ ঘন্টা পর এ দুর্ঘটনা ঘটে।’ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতালি কর্তৃপক্ষ শুক্রবার ও সোমবারের মধ্যবর্তী সময়ে সমুদ্র থেকে প্রায় ৮ হাজার ৫শ অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধারের কথা জানানোর পর সর্বশেষ এই দুর্ঘটনা ঘটল।
সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরের আবহাওয়া ভাল থাকায় লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ইউরোপের এই দেশটিতে অভিবাসীদের পাড়ি দেয়ার সংখ্যা বহুগুণে বেড়েছে।
লিবিয়ায় ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মূলত এর জন্য দায়ী। সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশটির বাসিন্দাদের ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ফলে বিপুল সংখ্যক লোক একে ইউরোপে আশ্রয় সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করছে।
ইতালি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৫ সালে ১৫ হাজারেরও বেশি লোক অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশ করেছে। গত বছরের শুধু এপ্রিল মাসেই ১৫ হাজার লোক ইতালিতে ঢোকে। এছাড়াও জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ২৫ হাজার লোক ইউরোপীয় দেশটিতে অবৈধভাবে পাড়ি জমায়।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ৬ হাজার ৫শ অবৈধ অভিবাসীর জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছে।
তাদের এই পদক্ষেপকে বিরোধী দল সমালোচনা করে বলেছে, পদক্ষেপটি অবৈধ অভিবাসীদের সমুদ্রপথে বিপজ্জনকভাবে ইতালি প্রবেশে উৎসাহিত করবে।