ইমিগ্রেশন নীতি ঘোষণা করলেন এড মিলিব্যান্ড
যেসব ফার্ম বা কোম্পানী স্বল্প দক্ষ বা অদক্ষ ইমিগ্র্যান্ট ওয়ার্কারকে কাজের জন্য উৎসাহ যোগাবে এবং যারা মিনিম্যাম ওয়েজ পলেসি অমান্য করবে তাদের জন্য আলাদা একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের ঘোষনা দিয়েছেন লেবার লিডার এড মিলিব্যান্ড। যদিও টোরি বা কায়ালিশন বলেছে, ইতোমধ্যেইএ নীতিতে বোর্ডার কন্ট্রোল করা হচ্ছে। আর ইউকিপ বলেছে, ইমিগ্রেশন ইস্যু নিয়ে লেবারের বিগত সরকারের রেকর্ডের কারণেই এ ইস্যু নিয়ে লেবারের উপর সাধারণ মানুষের অনাস্থা রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম ৫টির মধ্যে একটি ইস্যু হলো ইমিগ্রেশন। শনিবার ইমিগ্রেশন ইস্যু নিয়ে ক্যাম্পেইন করতে গিয়ে দলের পুরনো ইমেগ্রেশন পলেসির প্রসঙ্গ টানতে হয়েছে লেবার লিডারকে। লেবার পার্টির বিগত সরকার অদক্ষ মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কারদের বৃটেনে প্রবেশ টেকাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ৩ বছর আগেও দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছিলেন এড মিলিব্যান্ড।
লেবার লিডার বলেন, ইইউর ভেতরে থেকে আসা মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কারদের কন্ট্রোল করা কঠিণ হবে। তাই বোর্ডার কন্ট্রোলের উপর গুরুত্ব দিয়েই এবার নুতন ইমিগ্রেশন নীতি গ্রহণ করেছে লেবার। এর মাধ্যমে ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে আসা স্বল্প দক্ষ বা অদক্ষ মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার যারা এসে বৃটিশ ওয়ার্কারদের জব দখল করে নেয় তাদের নিয়ন্ত্রণের কথা বলেন তিনি। মিনিম্যাম ওয়েজ পলেসি অম্যান্য করে অদক্ষ ইমিগ্রেন্ট ওয়ার্কারদের দিয়ে যেসব কোম্পানী কাজ করানোর চেস্টা করবে তাদের শায়েস্তা করার জন্য আলাদা ফোর্স গ্রঠনের ঘোষনাও দেন তিনি।
লেবার বলছে, ক্ষমতায় গেলে বোর্ডার নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন করে আরো ১ হাজার নিউ বোর্ডার অফিসার নিয়োগ দেবে। ইলিগ্যাল ওয়ার্কারদের ধরতে ১শ স্টাফ নিয়ে গঠন করা হবে নিউ টাস্কফোর্স। মিনিম্যাম ওয়েজ নীতি অমান্যকারী কোম্পানীগুলোকেও জরিমানা করার নীতিও গ্রহণ করেছে লেবার। এদিকে শনিবার প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন একটি শিখ টেম্পল ভিজিট করেন। এ সফরটি নির্বাচনী প্রচারণার বাইরে থাকায় লেবারের ইমিগ্রেশন ইস্যু নিয়ে টোরি পার্টির অন্য নেতা কথা বলেন। সাবেক ইমিগ্রেশন মিনিস্টার জেমস ব্রোকেনশায়ার জানান, এ ইস্যুগুলো নিয়েই কাজ করছে টোরি। লেবার যে নীতিগুলো নিয়ে আসতে চাইছে সেগুলো ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত হচ্ছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে ইউকিপ বলছে, ইমিগ্রেশন ইস্যু নিয়ে লেবারের বিগত সরকারের ভুল নীতির কারণেই লেবারের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থার প্রধান কারণ বলে মন্তব্য করেন ইউকিপ লিডার নাইজেল ফারাজ।