হারলেই শেষ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার !
আগামী ৭ মের নির্বাচনে ব্রিটেনের কিছু রাজনীতিবিদের ক্যারিয়ার নির্মমভাবে শেষ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর অর্থ হলো, এদের নির্বাচনে অবশ্যই জয়লাভ করতে হবে। নয়তো রাজনীতির অঙ্গন থেকে চিরতরে বিদায়ের ঘণ্টা শুনতে হবে। বিদায়ের ঘণ্টা শোনার আশঙ্কায় থাকা এসব রাজনীতিবিদ হলেন রক্ষণশীল দলের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের নিক ক্লেগ, প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির এড মিলিব্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নবিরোধী ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টির নাইজেল ফ্যারাজসহ বিভিন্ন দলের আরও কিছু নেতা।
নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিটিক্যাল হিস্ট্রির প্রফেসর স্টিভেন ফিল্ডিং বলেন, ‘বিশেষ করে এই চারজনকে তাদের রাজনৈতিক জীবন বাঁচিয়ে রাখার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে।’ বহু বছর ধরে ব্রিটেনের রাজনৈতিক ক্ষমতার বলয় আবর্তিত হচ্ছিল এই দুই দলকে ঘিরে। ১৯২০ সালের পর এবারই প্রথম ব্রিটেনের রাজনৈতিক প্রবণতায় ভিন্নধর্মিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সরকার গঠনের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বড় দুই দলের মধ্যে কারও পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে। তৃতীয় কোনো দলের মুখাপেক্ষী হতেই হবে তাদের।
ক্যামেরনের হারের আশঙ্কাই বেশি করা হচ্ছে। ১৩ বছর ধরে লেবার পার্টি ক্ষমতায় থাকার পরে কনজারভেটিভরা ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। কনজারভেটিভরা হাউস অব কমন্সের যথেষ্ট আসন দখল করতে না পারায় লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে তাদের সরকার গঠন করতে হয়। সুতরাং কোয়ালিশন সরকারের কারণে তার পার্টর্িও বেশ অজনপ্রিয় হয়ে ওঠে। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের সিমন হিক্স বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হতে না পারলে ক্যামেরনকে চলে যেতেই হবে।’