আদালতে নিকাব গ্রহণযোগ্য : ব্রিটিশ প্রধান বিচারপতি

Lord Neubergerব্রিটেনের প্রধান বিচারপতি বলছেন, মুসলিম নারীদের নিকাব পরেই আদালতে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দিতে হবে বিচারকদের।
সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লর্ড নিউবার্গার বলেছেন, আদালত ও বিচারকদের উচিত অন্য সংস্কৃতি ও রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন।
ব্রিটেনের বিচারব্যবস্থায় নিকাব বা পুরো মুখ ঢাকা পর্দার অবস্থান কি হবে তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করলেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিকাব নিয়ে ইউরোপজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
‘বিচাররকরা যেন সবাইকে সমান চোখে দেখেন এবং ভিন্ন সংস্কৃতি ও সামাজিক আচার-আচরণকে বুঝতে পারেন,’ যোগ করেন নিউবার্গার।
নিউবার্গার বলেন, ভিন্ন সংস্কৃতি, সামাজিক, ধর্মীয় এবং অন্যান্য জনগোষ্ঠীর কি চিন্তা করে, আচরণ করে এবং তারা কিভাবে অন্যের আচরণ প্রত্যাশা করে তা বুঝতে পারাটা জরুরি।
বিষয়টির ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, কারো হয়তো (বিশেষ কোনো ধরনের) শপথে আপত্তি আছে, কারো চোখে হয়তো অন্য কেউ রুদ্রমূর্তির, কোনো কোনো মহিলা হয়তো মুখ খোলা রেখে জনসমক্ষে বের হওয়া অনুচিত মনে করেন।
তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে বিচারকদের হতে হবে মার্জিত এবং খোশমেজাজী। তারা দৃঢ় হবেন কিন্তু কখনো মেজাজ হারাবেন না।
ক্রিমিনাল জাস্টিস অ্যালায়েন্সের এই সভায় বক্তৃতা তিনি সাধারণ মানুষ আদালতকে ভয় পায় উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমদেরর বিচারপ্রকিয়ায় সত্যিটা খুঁজে পাওয়া সত্যিই সম্ভব কিনা।’
তিনি বলেন, তিনি বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের কথা বলছেন না। তবে বিচারকদের এটা মনে রাখতে হবে যে যারা আদালতে আসেন তারা যেন এখানে স্বাভাবিক বোধ করেন।
বিচারকেরা ‘সুবিধাভোগী’ শ্রেণির উল্লেখ করে নিউবার্গার বলেন, কিন্তু যারা বিচারপ্রার্থী তাদের অনেকেই তেমনটা নয়।
ব্রিটেনের মুসলি সম্প্রদায়ের নেতারা নিউবার্গারের এ বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেনের মহাসচিব ড. সুজা শফি বলেন, বিচারকরা যদি অন্যের ধর্ম, সংস্কৃতি এবং স্পর্শকাতরতাকে শ্রদ্ধা করেন তবে তাতে ভালো ফলই আশা করা যায়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button