প্রধানমন্ত্রীর সংবিধান প্রেম, বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার প্রস্তুতি : উপেক্ষিত জনগণ
স্টালিন সরকার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বো না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী সবকিছু হবে, দেশ চলবে। সংবিধানের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মমত্ববোধে জনগণের খুশি হওয়ার কথা। প্রশ্ন হচ্ছে সংবিধান অনুযায়ী কি দেশ চলছে? দেশে কি আইনের শাসন উপস্থিত? জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের সংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু জনগণ কি নিরাপদে আছে? আর জনগণ যাতে আইনের শাসন পায় বিরোধী দল বিএনপি কি সে ধরনের কোনো চাপ সরকারের ওপর দিয়েছে? নাকি ভোটের আগেই ‘মসনদে গেলে’ কে কোন পদ নেবেন সেই হিসেবে নিয়ে বেশি ব্যস্ত?
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা, আইন-শৃঙ্খলার অবনতিতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চরমে। ঘর থেকে বের হলে ঘরে ফিরতে পারবেন এমন নিশ্চয়তা নেই। শুধু সাধারণ মানুষ নয়; আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও নিজ বাসায় স্ত্রীসহ খুন হন। পুলিশের হিসাব মতে গত ৬ মাসে দেশে হত্যাকা- ১৪২টি, ডাকাতি ২৬টি, অপরহরণ ৮১টি এবং দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে ১৩০টি। এর বাইরের হিসেব আরো অনেক বেশি। তারপর আইজিপি দাবি করেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভাল। বলেন, হত্যাকা- হলেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বলা যায় না। তাহলে দেশবাসীর প্রশ্ন কত হত্যাকা-, অপহরণ এবং দস্যুতার ঘটনা ঘটলে তিনি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি মনে করবেন? আর বিরোধীদল বিএনপি? এদের যেন কোনো দায় দায়িত্ব নেই। মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। আলেম-ওলামারা নিগৃহীত। হাজারো সমস্যায় জর্জরিত মানুষের ‘নাগরিক অধিকার’ বলে কিছুই যেন নেই। নির্বাচন হবে কিনা সেটাও অনিশ্চত। অথচ ক্ষমতায় গেলে কে কি করবেন, কে কোন পদে বসবেন, কোন মন্ত্রনালয়ের কে মন্ত্রী হবেন বিএনপির কিছু নেতা সে হিসেব নিয়েই ব্যস্ত। একদিকে আন্দোলনের হম্বিতম্বি করছেন; অন্যদিকে নিজেদের সম্পদ আগলে রাখতে ‘হোমিওপ্যাথিক’ কর্মসূচির দেয়ার চাপ দিচ্ছেন। এমনকি সাড়ে চার বছর মার খাওয়ার পর কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের নেতারা প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সঙ্গে সমঝোতা ‘মিলেমিশে’ খাওয়ার পথ ধরেছেন।
সংবিধানের বাইরে একচুলও নড়বেন না প্রধানমন্তী শেখ হাসিনা। দেশবাসীকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে। প্রশ্ন হলো তিনি যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করে আন্দোলন করেছেন তখন কি সংবিধানে সেটা ছিল? ১৭৩ দিন হরতাল করে তিনি ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ পেয়েছেন। কিন্তু এখন কেউ হরতাল করলে বাসায় গিয়ে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন তার মন্ত্রীরা। হরতালকারীদের বাসায় গিয়ে গুলি করার হত্যার নির্দেশ কি আইনের শাসন? সংবিধান কি এটা সমর্থন করে? তিনি কি সংবিধান আলোকে সরকারের সবকিছু পরিচালনা করছেন? সংবিধানের কোন চ্যাপ্টারে লেখা আছে প্রধানমন্ত্রী জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচ করে মন্ত্রীর মর্যাদায় ৭/৮জন উপদেষ্টা নিয়োগ করতে পারবেন? কোথায় লেখা রয়েছে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে গণভবনের মাসের পর মাস দলীয় কর্মসূচি পালন করবেন? সংবিধানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে জোরদারের কথা বলা হয়েছে। তিনি কি সাড়ে চার বছরে সেটা করেছেন? উপজেলা চেয়ারম্যানকে ক্ষমতাহীন করে রেখে ‘এমপির জমিদারিত্ব’ কায়েম করা কি সংবিধান সমর্থন করে? সংবিধান কি প্রশাসনে দলীয়করণ, গোপালগঞ্জকরণ, মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে সরকাররের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানের পরিণত করা সমর্থন করে? আইনের শাসনের দাবি করা হচ্ছে। সাড়ে চার বছরে আইন কি নিজস্ব গতিতে চলতে পেরেছে? সাংবাদিককে মারধর করার অপরাধে সরকারী দলের এক এম এমপিকে গ্রেফতার করে দাবি করা হচ্ছে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। কিন্তু সাংবাদিক পেটানো ওই এমপির মতো আর ২৪ জন আওয়ামী লীগের এমপি সাংবাদিক, ইঞ্জিনিয়ার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুলিশের ওসিকে পিটিয়েছেন। প্রকাশ্যে পিস্তল উচিয়ে জনগণকে গুলি করার ঘটনাও ঘটেছে। ওইসব এমপির ক্ষেত্রে আইন কি নিজস্ব গতিতে চলেছে? জামায়াত-শিবির, হেফাজততে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের কারণে অকারণে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কিন্তু সাড়ে চার বছরে ছাত্রলীগ আর যুবলীগের এতোগুলো হত্যাকা-, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আগুন, শিক্ষকের মুখে এসিড নিক্ষেপ, অধ্যাক্ষকে মারধোর, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভূমিদখল, নিজ দলের নেতাকে খুনসহ অসংখ্য অপরাধ করেছে। মিডিয়ার বদৌলতে তা জেনেছে। এগুলোর একটি ঘটনার কি সুস্থ তদন্ত এবং বিচার হয়েছে? দলীয় নেতাকর্মীদের আইন বিরোধী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা কি সংবিধানে নেই? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জিয়া স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছেন। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। সংসদে ইনডেমনিটি বিল পাসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারের পথ বন্ধ করেছেন। জিয়া কি শুধু স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছেন? আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করেননি? দেশে এক দলীয় বাকশালের রাজনীতি থেকে বহুদলীয় রাজনীতির প্রবর্তনের সময় জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়। একই সঙ্গে মালেক উকিল আর সাজেদা চৌধুরীর আবেদনে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়। এর আগে আওয়ামী লীগ নামে কোনো দল ছিল না। যা ছিল তা বাকশাল। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের বিচার বন্ধের ইনডেমনিটির কথা বলেছেন। ইনডেমনিটি দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা খারাপ দৃষ্টান্ত; সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজেও রেন্টাল-কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুর্নীতির নিয়ে যাতে নাগরিকদের কেউ মামলা করতে না পারে সে পথ বন্ধ করতে সংসদে ইনডেমনিটি বিল পাস করেছেন। বিশ্বের কোথাও কি এ নজীর আছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ করতে সংসদে আগাম আইন পাস করা হয়? আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ আবুল হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী দেশপ্রেমিক হিসেবে অবিহিত করেছেন। দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও জনগণের কথা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা আবুল হোসেনকে ‘দেশপ্রেমিক’ মনে করেন কিনা সেটা কি কখনো জানার চেষ্টা করেছেন?
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। দেশের আইন শৃংখলার চরম অবনতি ঘটেছে। এ অবস্থায় পেশাদার খুনিদের জামিন দেয়া হচ্ছে। পথেই শুধু নয়; এতোদিন শুধু সাধারণ মানুষ ঘরে-বাইরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো এখন পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তারাও ঘরে নিরাপদ নন। আগে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ চাঁদাবাজি করতো। ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসিসহ মাঠ পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তারা তটন্থ থাকতো স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীয় নেতাদের ভয়ে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি তারা একাই করতো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এখন অনেক জায়গায় এটা হচ্ছে সমঝোতার মাধ্যমে। ক্ষমতার পালাবদল ঘটলে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাদের ‘ছায়া দিয়ে’ রাখা হবে আগাম এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাঁদাবাজিতে ভাগ বসানো হচ্ছে। বাংলাভিশনের ফ্রন্ট লাইন অনুষ্ঠানে দৈনিক নিউ এইজ সম্পাদক নুরুল কবির বলেছেন, আওয়ামী লীগ ’৯৬ সালে বিএনপিকে যেভাবে রাজপথের আন্দোলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিতে বাধ্য করেছিল; বিএনপিও যদি এবার আওয়ামী লীগকে সেভাবে বাধ্য করতে পারে তবে সমাধান একভাবে হবে। না হয় ইতিহাস তার আপন গতিতে চলবে। আর আওয়ামী লীগ যদি বেআইনী পথে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায় তবে ইতিহাসের পরিনতি তাকে ভোগ করতে হবে। প্রশ্ন হলো বিএনপি কি ’৯৬ সালের আওয়ামী লীগের মতো রাজপথে রাজনৈতিক সংকট ফয়সালা করার পথে হাটছেন? নাকি ’৯১ এর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ যে ক্ষমতায় গেলে কে কি হবেন সে হিসেব করেছিলেন বর্তমান বিএনপি সেই পথে হাটছেন? দেশের ৯০% ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। ৯২% ভাগ মুসলমান আর রাষ্টধর্ম ইসলামের দেশে আলেম-ওলামারা নিরাপদে থাকতে চায়। অনিশ্চয়তার আবর্তে ঘুরপাক খাওয়া দেশের কোটি কোটি বঞ্ছিত মানুষ নিরাপত্তা চায়। অনিশ্চয়তা থেকে পরিত্রাণ চায়। কিন্তু বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব কি জনগনের সে ভাষা বুঝতে চেষ্টা করছেন? মহাজোট সরকারের নেতা-মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেয়ালের লেখা পড়–ন; মানুষের মনোভাব বুঝতে চেষ্টা করুণ।’ বিএনপির নেতারা কি কখনো দেয়ালের ভাষা পড়ার চেষ্টা করেছেন? মানুষ কি চায় তা বোঝার চেষ্টা করেছে? দীর্ঘদিন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ‘আন্দোলন আন্দোলন খেলা’ খেলছেন। আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলছেন। কিন্তু যৌক্তিক কোনো কর্মসূচি তারা কি গ্রহণ করেছেন? ‘সরীসৃপ’ প্রাণীর মতো দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকার পর হঠাৎ আন্দোলনের হুংকার দেয়া হচ্ছে। দু’একটি হরতাল দিয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে। তারপর আবার নীরব-সুনসান। বিতর্কিত জামায়াতের সমর্থন নিয়ে হরতাল কর্মসুচি দিলে রাজপথে মিছিল হয়; সরকারের টনক নড়ে। কিন্তু বিএনপি এককভাবে হরতাল কর্মসুচী দিলে বামপন্থীদের চেয়েও খারাপ অবস্থা হয়। হরতাল দিয়ে দলের নেতারা ঘরে বসে থাকেন আর রাজপথ দখল করে মিছিল করে আওয়ামী লীগ। অনেক দিন থেকে বিএনপি ‘ঘরে বসে থাকা’ সমঝোতার আন্দোলন করছে। জনগণ মনে করে সরকার চরম ভাবে ব্যর্থ। কিন্তু বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি কি সে ব্যর্থতাগুলো তুলে ধরতে পেরেছে? বিএনপি সরকারে গেলে কি করবে তার কোনো ‘কর্মসূচি’ নেই। এমনকি যে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে সে সরকারের ধরণ কেমন হবে; তারা কি ধরনের নির্দলীয় সরকার চায় সে ব্যাপারে কোনো ‘ধারণা বা প্রস্তাব’ দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে পারেনি। এমনকি সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে যে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন বলে ‘শুভঙ্করের ফাঁক’ রাখা হয়েছে সেটাও সঠিকভাবে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে পারেনি বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন, নির্বাচন হবে না। ক্ষমতা ছাড়ার সম্ভাবনা আছে এমন কোন নির্বাচন আওয়ামী লীগ করবে না। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে সে নির্বাচন অর্থবহ হবে না। পৃথিবীর কোথায় সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হয়? বাংলাভিশনের ফ্রন্ট লাইনে তিনি বলেন, দেশ রক্তপাতের দিকে যাচ্ছে। খুনখারবী হচ্ছে দলের ভেতরে-বাইরে। রাজনীতিতে রাজনৈতিক চিন্তাবিদ নেই। বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেই তাকে ছোট করেছে। ভারতে মহাত্মা গান্ধী মারা গেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আব্রাহাম লিঙ্কন মারা গেছেন। সেসব দেশে সারাক্ষণ তাদের জন্য কান্নাকাটি করা হয় না। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে দলীয় নেতায় পরিণত করেছে। বঙ্গবন্ধুর যে উজ্জ্বল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, তিনি যে জাতির ঐক্য চেয়েছিলেন, তিনি যে ক্ষমা করেছিলেন তা নিয়ে তো কোথায়ও আওয়ামী লীগ আলোচনা করে না। বঙ্গবন্ধুর মুত্যুবার্ষিকীকে কেউ জন্মদিন পালন করতে পারবে না? রাজনীতিতে সমঝোতার সম্ভাবনা দেখছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, আসলে দুই নেত্রী দেশ পরিচালনা করছেন না। রিটায়ার্ড আমলা আর বর্তমান আমলারা দেশ পরিচালনা করছেন। আর রাজনীতি করছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন যে কথাগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন বিএনপি সেগুলোও তুলে ধরতে পারছে না। তাহলে জনগণ যাবে কোথায়? সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে পছন্দমতো সংবিধান ব্যবহার করছে। সংবিধানের যেটা তাদের পক্ষে যায় সেটা তারা সেটা করছেন। কিন্তু সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণকে বৃদ্ধঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। আর বিরোধী দলের অবস্থানও জনগণের পক্ষ্যে নেই। জনপ্রত্যাশা পূরণের চেয়ে তারা ভোটের আগেই ক্ষমতায় গিয়ে কে কি করবেন তা হিসেব-নিকেশে বেশি ব্যস্ত। এ অবস্থায় জনগণ কোথায় যাবেন? এ মিলিয়ন ডলারের প্রশ্নের উত্তর কারো জানা নেই।