১১ জুন টাওয়ার হ্যামলেটসের পরবর্তী মেয়র নির্বাচন
আগামী ১১ জুন টাওয়ার হ্যামলেটসের পরবর্তী মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীর সন্ধানে নেমেছেন সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান। বৃহস্পতিবার আদালতের রায়ে তিনি দোষি সাব্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি আর নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না বলেও রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। এ কারণে টাওয়ার হ্যামলেটস ফার্স্ট বা নিজের পক্ষ থেকে একজন নতুন প্রার্থীর সন্ধান শুরু করেছেন লুৎফুর রহমান। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর অলিউর রহমান বা লিড মেম্বার কাউন্সিলর রাবিনা খান এবং মেয়র অফিসের কর্মকর্তা সাজিদুর রহমানের নামও তালিকায় আছে। তবে সংশ্লিস্ট সূত্র জানিয়েছে, লুৎফুর চাচ্ছেন একদম নুতন কাউকে প্রার্র্থী হিসাবে নামাতে। এ লক্ষেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। যেহেতে নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে তাই বৃহস্পতিবারের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জের যাওয়ার পরিকল্পনার আগে প্রার্থী নিয়েই ভাবতে হচ্ছে লুৎফুর রহমানকে। অন্যদিকে টাওয়ার হ্যামলেটসের লেবার পার্টি থেকে ২০১৪ সালের নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী জন বিগস প্রার্থী হতে আগ্রহী। তবে পার্টি যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই তিনি মেনে নেবেন বলে জানা গেছে। লেবার পার্টির চেয়ে প্রার্থী নিয়ে বেশি ভাবতে হচ্ছে লুৎফুর রহমানকে। জুনের নির্বাচনের মাধ্যমেই মুলত তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য টাওয়ার হ্যামলেটেস ইলেকশন মামলার চুড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। দ্যা রয়েল কোর্ট অব জাস্টিসে সকাল সাড়ে ১০টায় রায় ঘোষণা করেন মামলার বিচারক রিচার্ড মৌরি কিউসি। প্রায় দেড় ঘন্টা সময় নিয়ে দুশ পৃষ্ঠা পুর্নাঙ্গ রায়ের সারাংশ পড়ে শোনান বিচারক। রায়ে ২০১৪ সালের মেয়র নির্বাচনের সময় এবং তারো আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং ইলিগ্যাল প্রেক্টিসের কারণে নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানকে দোষি সাব্যস্ত করেন বিচারক। একই সঙ্গে ২০১৪ সালের মেয়র নির্বাচনকে অকার্যকর ঘোষণা এবং পরবর্তী নির্বাচনে লুৎফুর রহমান প্রার্থী হতে পারবেন না বলেও রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। রায়ে বিচারক বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসের সর্বমোট জনংখ্যাস প্রায় ৩২ শতাংশ বাঙালী। আর ধর্মের দিক দিয়ে বারার ৩৫ শতাংশ জনগণ মুসলিম। বারার প্রায় ৪৫টি মসজিদ রয়েছে। মেয়র লুৎফুর রহমান ২০১৪ সালের নির্বাচনে রেইস এন্ড রিলিজিয়াস গেইম খেলেছেন বলেও রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। মেয়র লুৎফুর রহমানকে ২শ ৫০ হাজার পাউন্ড অর্থ পরিশোধেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ও ইলেকশন কমিশনার রিচার্ড মৌরি। নির্বাহী মেয়র লুৎফুরের সঙ্গে কাউন্সিলর আলিবর চৌধুরীকেও দোষি সাব্যস্ত করেন আদালত।