অর্থনৈতিক পরিকল্পনাই যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে নিয়ামক হয়ে উঠেছে
যুক্তরাজ্যের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অর্থনীতি নিয়ে বিতর্কের বিষয়টি মূল কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে এবং নির্বাচনী বৈতরণী পারের প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠেছে। কারণ ইতোমধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার ও ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল উভয় দলেরই নির্বাচনী প্রচারণায় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উঠে আসছে এবং এ বিষয়ে একে অপরের পরিকল্পনার প্রতি আক্রমণ করে কথা বলছে।
লেবার নেতা এড মিলিব্যান্ড বলেছেন, টোরিরা উন্নত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এছাড়া লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড জানান, তিনি আশা করছেন আসন্ন নির্বাচনে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে এবং তিনি এসএনপির সঙ্গে কোন ধরনের জোট গঠন করবেন না।
অন্যদিকে রক্ষণশীলরা বলছেন, এসএনপির সহযোগিতায় সরকার গঠন করলে লেবারদের মূল্য দিতে হবে। এদিকে লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা সেবাপ্রদানকারীদের জন্য ১৫ কোটি পাউন্ডের সহায়তা প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন ভোটারদের কাছে লেখা এক চিঠিতে রক্ষণশীল এবং স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) কঠোর সমালোচনা করছেন।
ইউনাইটেড কিংডম ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টির (ইউকেআইপি) নেতা নাইজেল ফারাগে অভিযোগ করেছেন অভিবাসন ও এইচআইভি বিষয়ে তিনি যা বলেছেন অন্যান্য সে সুরেই কথা বলছেন। ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট ফর ফিসক্যাল স্টাডিজের মতে, লেবার এবং টোরি উভয় দলের বাজেট ঘাটতি লাঘবের কৌশলের ভিন্নতা আপত মনোহর। রক্ষণশীলদের পরিকল্পনা আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছর নাগাদ সার্বিক উদ্বৃত্ত বাজেট। লেবাররা বলছে চলতি বাজেট থেকেই উদ্বৃত্ত এবং বিনিয়োগে উচ্চ ব্যয়ের অনুমোদন। এমতাবস্থায় বিবিসি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সামনের নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থনৈতিক বিতর্কের বিষয়টিই মুখ্য হতে চলেছে।