পশ্চিমা বিশ্ব ও রাশিয়ার তীব্র সমালোচনায় এরদোগান

Erdugan১৯১৫ সালে সংঘটিত তুরস্কের অটোম্যান শাসকদের ১৫ লাখ আর্মেনিয়ানকে হত্যার ঘটনাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগান। পোপ ফ্রান্সিসের পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিশ্বের ২০টি দেশ ওই হত্যকা-কে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় এর তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
শনিবার তুরস্কের সরকারি গণমাধ্যম আনাদলু নিউজ এজেন্সি জানায়, আর্মেনীয় গণহত্যার শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একাধিক বিশ্ব নেতার এ ধরনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন লিখিত বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানির রাষ্ট্র প্রধানদের বক্তব্যের সমালোচনা করে এরদোগান বলেছেন, বর্তমান শতাব্দী জার্মানি, রাশিয়া ও ফ্রান্সের সংঘটিত গণহত্যার কথা বলবে। আর জার্মানির উস্কানিতে সংঘটিত বিগত শতাব্দীর দুই বিশ্বযুদ্ধের ঘটনাগুলো আমাদের চোখের সামনেই উদাহরণ হয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, তুরস্কের বিরুদ্ধে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট এসব মন্তব্য আর্মেনীয় মিথ্যাচারের উপর প্রতিষ্ঠিত। এধরনের মন্তব্য করার পূর্বে এসব দেশগুলোর প্রত্যেকের নিজেদের ইতিহাসের নোংরা পরিষ্কার করা উচিত। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এই হত্যাযজ্ঞের ঘটনাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করা থেকে বিরত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আর্মেনিয়ানদের প্রতি পক্ষপাতিত্তের অভিযোগ করেন এরদোগান। গত শুক্রবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত বুকে নিয়ে আর্মেনয়ীরা গণহত্যার শতবর্ষ পূর্তি পালন করে। জার্মানির পার্লামেন্টের অধিবেশনেও এ দিনটি স্মরণ করা হয়। আর এ সময়ই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্ডেস্টাগে সব পার্লামেন্টারি দলগুলো একযোগে প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দেয়। আর্মেনীয়দের দাবি, ১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ২৪ ও ২৫ এপ্রিল দুই দিনে প্রায় ১৫ লাখ আর্মেনীয়ান তুর্কি অটোমানদের হত্যাযজ্ঞের স্বীকার হয়েছিল। কিন্তু তুরস্ক সব সময়ই এ গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। ওই সহিংসতা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিণতিতে হয়েছিল বলে দাবি তাদের। তুরস্ক এ সপ্তাহের শুরুতে অস্ট্রিয়ার পার্লামেন্টে গৃহীত একই ধরনের একটি প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। গত বৃহস্পতিবার জার্মান প্রেসিডেন্ট জোয়াচিম গাউকও এ হত্যাকা-কে গণহত্যা বলে উল্লেখ করেন। -ডয়েচে ভেলে

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button