ব্রিটেনে ভোটের মাঠে হিন্দি গান !
খোদ ব্রিটেনেও ভোটের প্রচারে হিন্দি গান! সেই গান শুনিয়েই ব্রিটেনের ১৬ লাখেরও বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে বশে আনার চেষ্টা করছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। শনিবার লন্ডনে একটি সভায় তাকে বলতেও শোনা গেছে ব্রিটেনের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ বা এশীয় প্রধানমন্ত্রী হবেন কনজারভেটিভ পার্টিরই কোনো সদস্য!
আগামী ৭ মে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। এখন থেকেই কনজারভেটিভ পার্টির বিভিন্ন সভায় বাজছে পণ্ডিত দীনেশের লিখিত, সুরোরোপিত এবং প্রযোজিত ‘নীলা হ্যায় আসমান’ (আকাশের রং নীল)। গানটি গেয়েছেন নবীন কুন্দ্রা এবং রুবাইয়াত জাহান, বাঁশিতে সঙ্গত বকির আব্বাসের। কনজারভেটিভ পার্টির প্রতীক নীল রঙের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখেই লেখা গানটির ধুয়ো, ‘ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে হাত মেলান, তিনিই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’ বলা হচ্ছে, নির্বাচনী প্রচারে এভাবে গানের ব্যবহার, ব্রিটেনে এই প্রথম। আর এই প্রচারকৌশলে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট সংগীত (যাতে গলা মিলিয়েছিলেন তখনও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি) ‘ম্যায় দেশ নহি ঝুঁকনে দুঙ্গা’র মিলও দেখছেন কেউ কেউ।
অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, একদা এই দলেরই প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল মহাত্মা গান্ধীকে বলতেন ‘অর্ধনগ্ন ফকির’। কিন্তু ভোটের দায় সর্বত্রই বড় দায়। যে কারণে সম্প্রতি লন্ডনে গাঁধীমূর্তি উন্মোচন করেছেন ক্যামেরন। গিয়েছেন ব্রিটেনের কয়েকটি হিন্দু মন্দির এবং শিখ গুরুদ্বারে।
সংখ্যা এবং প্রভাবের কারণে অন্য জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভোটদাতাদের স্বতন্ত্র রাখতে তাদের ‘ব্রিটিশ হিন্দু’ বা ‘ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান’ বলে পরিচয় দিতেও উৎসাহ দিচ্ছেন ক্যামেরন। ব্রিটেনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর এই ভারত প্রীতির পেছনে সে দেশের ভোট-রাজনীতির পরিবর্তিত বিন্যাসই দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা। গত সাধারণ নির্বাচনে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়েছিলেন কনজারভেটিভ দলের ১১ জন কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় সদস্য।
লেবার পার্টিতে তাদের সংখ্যা ছিল ১৬। এবারের নির্বাচনে ৫৬ জন কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থী দিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। লেবার পার্টি থেকে সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থীর সংখ্যা ৫২।