‘মনে হল আমার শিক্ষকতা জীবন ব্যর্থ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহবায়ক প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘আজকে ঢাকা কলেজে ভোট দিয়ে গিয়ে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে আমি অত্যন্ত লজ্জাবোধ করছি। এই অভিজ্ঞতায় আমার মনে হল গত অর্ধশতাব্দী ধরে আমার শিক্ষাকতা জীবন ব্যর্থ।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সকালে আমি আমার ছেলে নাতি-নাতনিদের নিয়ে ঢাকা কলেজে ভোট দিতে যাই। একজন পুলিশ অফিসার সম্ভবত তিনি আমার ছাত্র হবেন। তার সহায়তায় আমি কেন্দ্রে ঢুকে ভোট দিতে সক্ষম হই। কিন্তু বের হয়ে কলেজের সামনে আসলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন (তারা ঢাকা কলেজের ছাত্রই হবে) আমাকে লক্ষ্য করে বলে, আপনি অসমনীতির রাজনীতির নীতি নির্ধারক। মানুষ পুড়িয়ে এখন এসেছেন ভোট দিতে। লজ্জা করে না। আপনার ভোট দেওয়ার কোনো অধিকার নেই।’
১৯৪৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নির্বাচন দেখেছি। আজকের সিটি নির্বাচনের মতো এমন নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্য আয়োজন হতে আর দেখিনি উল্লেখ করে এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তার আশপাশের চেলা চামুন্ডাদের কথাবার্তা শুনে আগেই অনুভব করেছিলাম নির্বাচন হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে আরও দীর্ঘায়ু করা হবে সে আশঙ্কাই প্রমাণিত হল।’
আর্দশ ঢাকা আন্দোলন একটি বাসযোগ্য ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে গড়েছিলাম উল্লেখ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহর বাসযোগ্য ছিল না। দেশে আইনের শাসন, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র নেই। প্রত্যাশা করেছিলাম, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকাকে বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এভাবে ব্যর্থ হবে কল্পনাও করতে পারিনি।’
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য এমাজউদ্দীন বলেন, ‘সিটি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু, নিরপক্ষে করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা অমার্জনীয়।’
এ সময় সংবাদ সন্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে মওদুদ আহমদ ঢাকা সিটি করপোরেশনে ২০ দলীয় জোটে সমর্থিত প্রার্থীদের নিবার্চন প্রত্যাহার ষোষণা দেন।