৫ বছরের কারাদণ্ড
হত্যা মামলায় সালমান দোষী সাব্যস্ত
২০০২ সালে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ফুটপাতে ঘুমন্ত মানুষকে হত্যার দায়ে বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে অভিযুক্ত করেছেন মুম্বাই আদালত। তার বিরুদ্ধে দায়েরর করা ৮টি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে।
মামলায় অভিনেতা সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার মুম্বাইয়ের আদালত ১৩ বছর ধরে চলতে থাকা এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে।
বিচারক ডি ডব্লিউ দেশপান্ডে রায় ঘোষণার আগে সালমানকে বলেন, ‘সাক্ষীদের বয়ান অনুযায়ী ওই সময় চালকের আসনে ছিলেন আপনি। মদ্যপ থাকার কারণে নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি আপনি।’ এরপরই বলিউডের এই সুপারস্টারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনীত ৮টি অভিযোগের সবই প্রমাণিত হয়েছে।
আদালতে বুধবার সকালে উপস্থিত হন সালমান খান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ভাই সোহেল খান ও আরবাজ খান। অভিযুক্ত প্রমাণিত হওয়ার পরপরই আদালতস্থল ত্যাগ করেন সালমানের দুই ভাই।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে সালমানের সাদা রঙের টয়োটা ল্যান্ড ক্রজার গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উঠে পড়ে বান্দ্রার একটি বেকারির সামনের ফুটপাতে। এই দুর্ঘটনায় ফুটপাতে শুয়ে থাকা এক ব্যাক্তি নিহত হন এবং দুজন আহত হন।
সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সে সময় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
প্রথমে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে সালমানের বিরুদ্ধে মামলা চললেও ২০১৪ সালের এপ্রিলে দণ্ডনীয় নরহত্যার অভিযোগে নতুন করে সালমানের বিচার শুরু হয়।
গত এক বছর ধরে চলা এ মামলার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন সালমান। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি চালকের আসনে ছিলেন না এবং মদ্যপানও করেননি।
সালমানের গাড়ি চালক অশোক সিং আদালতে জবানবন্দিতে বলেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন এবং সালমান মদ্যপ ছিলেন না।
গত মাসে জানানো হয়, সালমানের এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হবে ৬ মে। মামলার রায়ের সময় উপস্থিত থাকার জন্য কাশ্মিরে সিনেমার শুটিং ফেলে মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে এসে পৌঁছান সালমান।