কেমন হবে ক্যামেরনের দ্বিতীয় মেয়াদ ?
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের অপ্রত্যাশিত দ্বিতীয় মেয়াদ বিদায়ী পাঁচ বছর মেয়াদের চেয়ে কম স্থিতিশীল প্রমাণিত হতে পারে এবং ব্রিটেনকে ইইউ সদস্যপদ প্রশ্নে গণভোটের দিকে একটি বন্ধুর পথে ঠেলে দিতে পারে। ব্রিটেনের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা শুক্রবার এ অভিমত দিয়েছেন।
স্ট্র্যাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞানের অধ্যাপক জন কার্টিস বলেন, ক্যামেরন খুবই ছোট আকারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন এবং তার নিজের কনজারভেটিভ দলের ভেতর থেকেই কিছু এমপি বিদ্রোহী হতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলেন, তার সাবেক কোয়ালিশন শরিক মধ্যপন্থী লিবারেল ডেমোক্রেটদের ছাড়া ক্যামেরন আরও বেশি ডানপন্থী হওয়ার এবং ইউরোপ প্রশ্নে আরও কঠোর পথ অবলম্বনের জন্য চাপের মুখে পড়বেন।
প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ানের কলামিস্ট ম্যাথিউ ডঅ্যানকোনাও বলেন, ক্যামেরনের যাত্রা সহজ হবে না এবং তার বিজয়-উল্লাসে মাতা উচিত হবে না।
তিনি বলেন, স্কটল্যান্ডে ৫৯ আসনের মধ্যে স্বাধীনতাপন্থী স্কটিশ জাতীয়তাবাদীরা ৫৬ আসনে বিজয়ী হওয়ায় কনজারভেটিভ সরকার শক্ত বিরোধিতার সম্মুখীন হবেন। আরেকটি সমস্যা হল ক্যামেরন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি ২০২০ সালের পর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। ফলে আগামী দিনগুলোতে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নিয়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে। অতীত অভিজ্ঞতা বলে ক্যামেরন তার প্রত্যাশিত দিনের আগেই নেতৃত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। প্রধানমন্ত্রী ৬৫০ আসনের পার্লামেন্টে প্রয়োজনীয় ৩২৬ আসনের চেয়েও কিছু বেশি আসন পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর অর্থ হল তিনি মধ্যডানপন্থী ছোট দলগুলোর সমর্থন ছাড়াই সরকার গঠন ও চালাতে পারবেন।
ক্যামেরনের দল বুথফেরত জরিপের চেয়েও বেশি আসনে জিতেছেন। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, লাজুক ভোটাররা জরিপকারীদের কাছে এক দলের কথা বললেও ভোট দিয়েছেন অন্য দলকে। এ একই ধরনের ঘটনা ১৯৯২ সালেও ঘটেছিল। সেবারও কনজারভেটিভ পার্টি অপ্রত্যাশিতভাবে বিজয় লাভ করেছিল।