হেভিওয়েট নেতাদের পতন
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে পতন হয়েছে বড় দলগুলোর বেশ কয়েকজন রাঘব বোয়ালের। এসব হেভিওয়েট প্রার্থীর এমন অনেকে আছেন যাদের ওপর দলই নির্ভর করে। কিন্তু তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেননি ব্রিটিশ ভোটাররা। এমন কিছু রাঘব বোয়ালদের পরিচিতি তুলে ধরা হল।
লেবার পার্টি থেকে
এড বালস
ব্রিটিশ সরকারের শ্যাডো চ্যান্সেলর ও লেবার পার্টির হেভিওয়েট নেতা এ বালস তার পতন রোধ করতে পারেননি। ২০১০ সালের নির্বাচিত এমপি এবার তার মরলি অ্যান্ড আউটইড আসনে কয়েকশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। কনজারভেটিভ প্রতিদ্বন্দ্বীর ১৮ হাজার ৭৭৬ ভোটের বিপরীতে তিনি পান ১৮ হাজার ৩৫৪ ভোট।
ডগলাস আলেকজান্ডার
ডগলাস আলেকজান্ডার লেবার পার্টির পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র। লেবার দুর্গে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আঘাত আসে হাই প্রোফাইল এই নেতার পরাজয়ের খবরে।
পেইসলি অ্যান্ড রেনফ্রিউশায়ার সাউথ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এসএনপি থেকে প্রার্থী হওয়া ২০ বছর বয়সি এক শিক্ষার্থীর মহাইরি ব্লাকের কাছে হেরে গেছেন।
জিম মারফি
স্কটল্যান্ডে লেবার পার্টির জনপ্রিয় নেতা জিম মারফি ইস্ট রেনফ্রিউশায়ার আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২০ বছর ধরে দখলে রাখা আসনটি হারিয়েছেন ৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে। এখন তিনি দল থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিতে পারেন।
লিব ডেম থেকে
ড্যানি আলেকজান্ডার
স্কটল্যান্ডে লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির (লিব ডেম) সর্বোচ্চ নেতা ড্যানি আলেকজান্ডার এবারের নির্বাচনে হেরেছেন। ২০০৫ সালে লিব ডেম থেকে নির্বাচন করে ইনভারনেস, নাইরন, ব্যাডেনচ ও স্ট্রাথসপে আসনে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। এবার সেই আসনে ১০ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন এসএনপির ড্রিউ হেনড্রির কাছে।
ভিন্স ক্যাবল
টুইকেনহাম আসনে লড়ে কনজারভেটির প্রার্থী তানিয়া মাথিয়াসের কাছে ২ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন (লিব ডেম) প্রার্থী ভিন্স ক্যাবল। অথচ এই আসনে ১৯৯৭ সাল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি।
সিমন হাগহেস
সিমন হাগহেস হাউস অব কমনসের ৩২ বছরের সদস্য। বারমোন্ডসে অ্যান্ড ওল্ড সাউথওয়ার্ক থেকে নির্বাচন করে লেবার প্রার্থীর কাছে হেরেছেন তিনি।
৬৩ বছর বয়সি সিমন লিব ডেমের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে অন্যতম। দলের উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।