নতুন নেতার সন্ধানে লেবার পার্টি
নির্বাচনে ভরাডুবির পর পরাজয়ের গ্লানিতে পদত্যাগ করেছেন লেবার পার্টির প্রধান এড মিলিব্যান্ড। ডেপুটি প্রধান হারিয়েট হারমান সাময়িকভাবে দলের নেতৃত্ব দেবেন। ততদিনে দলীয়ভাবে নির্বাচিত হবেন লেবার পার্টির নতুন নেতা। বিশ্লেষকরা বলছেন ২০১০ সালে ব্যর্থতার পর নতুন করে জনগণের কাছে বিমুখ হওয়া লেবার পার্টিকে গুছিয়ে উঠতে এক দশক লেগে যেতে পারে। কিন্তু কে দলকে নতুন করে সাজিয়ে সাফল্যের অভিমুখে নিয়ে যাবেন কে? সম্ভাব্য নেতৃত্ব এখানে তুলে ধরা হল।
ডেভিড মিলিব্যান্ড
ডেভিড ক্যামেরন ও এড মিলিব্যান্ডের যৌথ দক্ষতা রয়েছে কি ডেভিড মিলিব্যান্ডের? নামের শুরুতে ক্যামেরনের অংশ থাকলেও তিনি এড মিলিব্যান্ডের বড় ভাই ডেভিড মিলিব্যান্ড। ২০১০ সালে দলীয় প্রধান হওয়ার লড়াইয়ে এড মিলিব্যান্ডের কাছে সামান্য ব্যবধানে হেরেছিলেন তিনি।
দুই ভাইয়ের মধ্যে রেষারেষি ছিল বলে গুঞ্জন রয়েছে। তারপর রাজনীতি ছেড়ে নিউইয়র্কভিত্তিক দাতব্য সংস্থা আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবার পার্টির পরাজয়ের পর এক টুইটে তিনি বলেন, ‘প্রগতিশীল রাজনীতির পুনর্নির্মাণে দূরদর্শী সুচিন্তার প্রয়োজন।’ তবে তিনি ব্রিটিশ রাজনীতিতে আবার ফিরছেন কিনা তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি। বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখিকা ও লেবার পার্টির বড় ডোনার জেকে রাউলিংয়ের টুইট বার্তা থেকে তাকে ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। দলের ভেতরে অনেকেই তাকে নেতা হিসেবে চান।
অ্যান্ডি বার্নহাম
গর্ডন ব্রাউনের আমলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যান্ডি বার্নহাম সরকারি কাজে বেশ দক্ষ। লেবার পার্টির প্রভাবশালী নেতা ২০০১ সাল থেকে টানা এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছেন। ২০১০ সালে দলের প্রধান হতে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছিলেন। কিন্তু এড মিলিব্যান্ডের কাছে পরাজিত হন। দলের নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী বলে বিবিসিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
চুকা উমুন্না
লেবার পার্টির একজন উদীয়মান তারকা চুকা উমান্না। ২০১০ সালে তিনি প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন এবং সেবারই শ্যাডো বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এ নির্বাচনে প্রায় ১৪ হাজার ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। সম্ভাব্য নেতা হিসেবে তাকে পেতে দলের অভ্যন্তরে প্রচারণাও চলছে।
ইয়েত্তে কোপার
গর্ডন ব্রাউন সরকারের মন্ত্রী ও সাবেক ট্রেজারি প্রধান গত চার বছর শ্যাডো স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে কাজ করেছেন ইয়েত্তে কোপার। তার স্বামী এড বালসের এবার লজ্জাজনক পরাজয় ঘটেছে। এ সুযোগে দলের নেতৃত্বে আসতে চান তিনি।
এছাড়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা ড্যান জারভিস, ইতিহাসবিদ-সাংবাদিক ত্রিসট্রাম হান্ট, লিজ কেন্ডাল, রাচেল রিভিসও দলের প্রধান হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছেন।