টোরি সরকারের কাট-নীতির বিরুদ্ধে লন্ডনে বিক্ষোভ
ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বে ৩৩১ আসনের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কনজারভেটিভ দল যখন সরকার গঠনে ব্যস্ত ও আনন্দে উদ্বেলিত, ঠিক তখনি ব্রিটেনের লন্ডন এবং কার্ডিফে সরকারের কাট-নীতির সমালোচনা করে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ডাউনিং ষ্ট্রীটে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মুখে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। পর্যায়ক্রমে বিক্ষোভ হোয়াইট হলের দিকেও ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে। এতে ৪ মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভ থেকে পুলিশ ১৬ বছরের এক ছেলে সহ ১৫ জনকে আটক করেছে। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃত ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনকে পুলিশ জামিনে মুক্তি দিয়েছে জানা গেছে।
তবে সিসিটিভি দেখে পুলিশ রিভিউ করে তাদের আবার ডাকলে হাজিরা দেয়ার অঙ্গিকার তাদের কাছ থেকে নিয়েছে। মূলধারার টিভি নিউজ চ্যানেলে অবশ্য এই বিক্ষোভ নিয়ে এই মুহূর্তে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের সমালোচনাও হচ্ছে।
কেউ কেউ বলছেন, কনজারভেটিভ দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, এই মুহূর্তে বিক্ষোভের জাস্টিফিকেশন ও নৈতিকতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন।
আবার গার্ডিয়ানের সাংবাদিকেরা বলেছেন, গণতান্ত্রিক চর্চায় বিক্ষোভ স্বাভাবিক এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হতেই পারে।
জানা যায়, সরকারের প্রস্তাবিত ১২ বিলিয়ন পাউন্ড কাট নীতির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যামেরনের সরকার ব্যাপক কাট নীতি- ওয়েল ফেয়ার বাজেট কাট, বেনিফিট কাট, যা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের নীতি অনুযায়ী কাজ শুরু করার প্রেক্ষিতে সাধারণ পরিবারগুলো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হবে বলে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন। আর এজন্য তারা এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে।
এর আগে গতকাল শনিবার টোরি পার্টির হেড কোয়ার্টারের সম্মুখে প্রতিবাদে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। লন্ডন ছাড়া কার্ডিফ শহরেও রোববার বিক্ষোভ হয়। লন্ডন ও কার্ডিফে বিক্ষোভকালে তারা সরকারের কাট নীতি বিরোধী নানা শ্লোগানের ব্যানার ও ফ্যাস্টুন হাতে দেখা যায়।
এদিকে রোববার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্বযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন রানি এলিজাবেথ। এর পর প্রিন্স চার্লস, ডেভিড ক্যামেরন সহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা ও স্যালুট গ্রহণ করেন। এতে যুদ্ধের সময়ের জীবিত যোদ্ধাদের মার্চ পাস্ট করতে ও সালাম গ্রহণ করতে দেখা যায়।
এদিকে বিক্ষোভ চলাকালীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শহীদদের ওয়ার মেমোরিয়ালে কে বা কারা টোরি স্ক্যাম লিখে এক গ্র্যাফিটি অংকন করেছে যা ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ডাউনিং ষ্ট্রীটের মুখপাত্র এই গ্র্যাফিটি অংকনের প্রতিবাদ করেছেন। কেননা ওয়ার মেমোরিয়াল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতীকে এ ধরনের গ্র্যাফিটি অনভিপ্রেত।