রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি ইউরোপের সবুজ সংকেত
জাতীয়তাভিত্তিক কোটাপ্রথা চালু করে অভিবাসীদের পুনর্বাসন করার আইনটি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পর ইইউ-র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঝুঁকেছে নতুন নীতির দিকে। বলা হচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের পুনর্বাসনের দিকেই জোর দেয়া উচিৎ ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর।
অর্থনৈতিক কারণে যারা ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছে তাদের পুনর্বাসন নিয়ে গলদঘর্ম ইউরোপ আর সহজ হতে চাইছে না। বরং অর্থনৈতিক কারণেই কেবল যারা অবৈধ পথে অভিবাসী হতে আসবে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের কাছে।
ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রদান ফ্রেদেরিকা মগেরিনি সম্প্রতি জাতিসংঘের এক অধিবেশনে বলেছিলেন, অবৈধ পথে আগত অভিবাসীদের কাউকেই আর অমানবিকভাবে তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ফিরিয়ে দেয়া হবে না। তার এ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কে নামেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে। তিনি বলেন, মগেরিনির এ বক্তব্য আরও অধিক সংখ্যক মানুষকে অবৈধ পথে ইউরোপে আগমনে উৎসাহিত করবে।
পরবর্তীতে মগেরিনির এক সহকারী এ দ্বন্দ্ব নিরসন করেন। তিনি স্পষ্ট করেন, মগেরিনি গড়পড়তা সব অভিবাসীর বিষয়ে এ মন্তব্য করেননি। শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রেই তার ভাষ্য প্রযোজ্য হবে যারা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করছে। এবং ইউনিয়নভুক্ত সকল দেশ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের অনুরোধগুলো দেশভিত্তিতে ভাগাভাগি করে বিবেচনা করবে। কিন্তু কোনো সুবিধা পাবে না অর্থনৈতিক কারণে ইউরোপে অবৈধ পথে আসতে চাওয়া বিপুল ভিনদেশী শ্রমিকরা।
রাজনৈতিক আশ্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ কোটাপ্রথা প্রচলন করা হবে। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালিসহ ইউনিয়নভুক্ত আরও দেশসমূহ এ কোটাব্যবস্থার সিদ্ধান্তে আপাতত সায় জানিয়েছে।