বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল
এক মাসেরও কম সময়ে কয়েকদফা ভূমিকম্পে কেঁপেছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। সর্বশেষ গতকাল শনিবার বিকেল ৫টা ৩৪ মিনিটে নেপালে উৎপত্তি হওয়া ৫ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের জেরে বাংলাদেশ ও ভারতেও কম্পন অনুভূত হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার পর পর দুই দফা ভূমিকম্প হয়। প্রথম কম্পন অনুভূত হয় দুপুর ১টা ৯ মিনিটে। আর ১টা ৪০ মিনিটে অনুভূত হয় দ্বিতীয় দফার কম্পন। এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নেপালে, যার মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৩ এবং ৬ দশমিক ৩। এবারের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল গত ২৫ এপ্রিলের ভূমিকম্পের তুলনায় বাংলাদেশের আরো কাছে এগিয়ে এসেছে।
শক্তির মাত্রায় রিখটার স্কেলে গতকালের ভূমিকম্পটি ছিল ৭ দশমিক ৩ মাত্রার। আর্থ অবজারভেটরি ঢাকা ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, ইনটেনসিটি স্কেলে ভূমিকম্পটি বাংলাদেশে ছিল ৩ থেকে ৪ মাত্রার। মাত্রা যখনই ৭-এ পৌঁছাবে, তখনই বড় ধরনের দুর্যোগ নেমে আসবে।
২৫ এপ্রিলের ভূমিকম্পটি ছিল বাংলাদেশ থেকে ৭৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে, মঙ্গলবারেরটি ৬১০ কিলোমিটার। আর গতকাল শনিবার নেপালে রামেছাপে যে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয় তার দূরত্ব বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪৩০ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকের ভূগর্ভস্থ চ্যুতি বা ফাটলে জমা হওয়া শক্তি থেকে বারবার ভূমিকম্প হচ্ছে। প্রায় দুই হাজার ৫০০ কিলোমিটার পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত ওই ফাটলের অরুণাচল অংশে ভূমিকম্পের মাধ্যমে শক্তি বের হয়ে গেছে, নেপালের অংশ দিয়ে গত কয়েক দিনের ভূমিকম্পে ৫০ শতাংশ শক্তি বের হয়ে গেছে। বাকি আছে কেবল সিলেট বরাবর ডাউকি ফাটলের ভুটান সিকিম অংশ।
ভূতত্ত্ববিদদের আশঙ্কা, নেপাল অংশে পর পর দুদফা বড় ভূমিকম্প হওয়ার পরও এখনো যে ৫০ শতাংশ শক্তি জমা রয়েছে, তা ফাটলের আরেকটি অংশ—ভুটান সিকিম অংশকে সচল করে দেয় কি না, যেখানে প্রায় হাজার বছর ধরে শক্তি জমা হচ্ছে। অথচ ভূমিকম্পের মাধ্যমে তা বের হচ্ছে না।