চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর পরকিয়া
১৩ বছরের সংসার ভাংছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্পীকারের
চাচাত ভাই এলান বারকোর সঙ্গে স্ত্রী সেলি বারকোর পরকিয়ার জেড়ে ১৩ বছরের সংসারের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাউস অব কমন্সের স্পীকার জন বারকো। গত সপ্তাহে মেইল অন সানডে পত্রিকা সেলি ও এলান বারকোর পরকিয়ার কাহিনী প্রকাশ করে। জন বারকো ২০১০ সালে টোরি ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো কমন্সের স্পীকার নির্বাচিত হন। সোমবার কমন্সে নতুন স্পীকার নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। পুনরায় স্পীকার নির্বাচিত হবার আশায় এ সপ্তাহের ভেতরেই স্ত্রী সেলির সঙ্গে সংসারের ইতি টানতে চান তিনি। ২৭শে মে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ভাষণের আগেই এ ঝামেলা ছুকিয়ে ফেলতে চান স্পীকার জন বারকো। রোববার ডেইলি মেইল অন লাইনের একটি রিপোর্টে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
মেইল অন সানডের তথ্য মতে, চাচাত ভাই এলান বারকো এবং স্পীকার জন বারকোর পরিবারের মধ্যে একটি মিনিক্যাব কোম্পানী নিয়ে প্রায় ৫০ বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। স্পীকার জন বারকোর বাবা চার্লি বারকো ১৯৫০ সালে নর্থ লন্ডনের ফিন্সলিতে একটি মিনিক্যাব কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অত্যন্ত সফল এ কোম্পানীর শেয়ার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিলো জন বারকোর চাচা এবং এলান বারকো বাবা সাইমন বারকোর সঙ্গে। এ দ্বন্দ্বের সুত্র ধরেই চাচাতো ভাই এলান বারকো স্পীকার জন বারকোর স্ত্রী সেলি বারকোর সঙ্গে পরকিয়া শুরু হয়। গত এপ্রিলে সেন্ট্রাল লন্ডনের বাটারসিতে স্পীকারের স্ত্রীর বাড়িতে এলান বারকো রাত্রি যাপন করেন বলে মেইল অন সানডে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। তখন স্পীকার জন বারকো নিজ নির্বাচনী এলাকা বাকিংহ্যামে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
স্পীকারের ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্ত্রী পরকিয়া প্রকাশের পর মারাত্মকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন স্পীকার। বিশ্বাস ঘাতক স্ত্রীর সঙ্গে তিনি এ সপ্তাহেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবেন বলে জানিয়েছেন স্পীকারের ঘনিষ্টজনরা। তবে এ বিষয়ে স্ত্রী সেলি সংবাদ মাধ্যমে কোনো কমেন্ট করেননি।