কুমির-কুমার লড়াইয়ে জয়ী হ্যারি
স্টিভ আরউইনের দেশে কুমির ধরে নাম কিনলেন ব্রিটেনের রাজকুমার হ্যারি৷ তিনি অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন একটি ‘বিশেষ’ এবং ‘গোপন অভিযানে’৷ সেখানেই প্রায় ১০ ফুট দীর্ঘ একটি কুমিরকে ধরে ফেলেন৷
অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে নর্দান টেরিটারিতে যেতে হয়েছিল হ্যারিকে৷ এই অঞ্চলের ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে এবং জলাভূমিতে যে লোনা পানির কুমির পাওয়া যায়, তাদের মানুষ খাওয়ার রেকর্ডও আছে৷ মাঝে মাঝেই স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তার জন্য এখানকার কুমিরদের ফাঁদে ফেলে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়৷ ফাঁদে পড়ে যাওয়া এমনই একটি কুমিরকে একার চেষ্টায় অস্ট্রেলিয়ার বনবিভাগের নৌকায় তুলে আনেন হ্যারি৷
অস্ট্রেলিয়ার বনকর্মী এরিন ব্রিটন জানিয়েছেন, ‘কুমির ধরিয়ে হিসেবে রাজকুমার হ্যারির ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল৷ যে ভাবে একার চেষ্টায় এই ১০ ফুট লম্বা কুমিরটিকে নৌকায় তোলেন তিনি তা দেখার মতো৷’
অস্ট্রেলিয়ার বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বেস প্রাইস জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ায় রাজকুমার এসেছিলেন একটি গোপন অভিযানে৷ কিন্তু ডারউইন অঞ্চলের লোনা পানির কুমির ধরে তিনি একটি চিরস্মরণীয় ঘটনা ঘটিয়ে গেলেন৷’
অস্ট্রেলিয়ার বন বিভাগ এই সংক্রান্ত একটি ছবিও প্রকাশ করেছে৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নৌকার পাটাতনে মুখ বাঁধা একটি কুমিরের পিঠের ওপর নিশ্চিন্ত মুখে বসে রয়েছেন হ্যারি৷
অস্ট্রেলিয়ায় ‘অভিযান’ শেষ করে রাজকুমার হ্যারি আট দিনের নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন৷ সেখানেও স্থানীয় মাওরিদের সঙ্গে ‘হাকা নৃত্য’ নেচে স্থানীয় যুবসমাজে রীতিমতো জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি৷ হাকা নাচ শিখতে তার মাত্র ২০ মিনিট লাগে৷
অস্ট্রেলিয়ার এই অঞ্চলে বর্ষা কাটলেই শুরু হয়ে যায় মাছ ধরার মরসুম৷ এলাকায় মানুষের বসতি যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে কুমিরের সংখ্যাও৷ এলাকার দখল নিয়ে মানুষের সঙ্গে কুমিরের প্রতিযোগিতায় যাতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য বছরে গড়ে প্রায় ২০০টি কুমিরকে হয় মেরে ফেলা হয়, না হলে অন্যত্র কোনো কুমির গবেষণাকেন্দ্রে সরিয়ে ফেলা হয়।