ব্রিটিশ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘শীতল যুদ্ধের’ আশঙ্কা ওয়ার্সির
ব্রিটেনের কনজারভেটিভ দলের নেতা ব্যারোনেস সাইয়েদা ওয়ার্সি বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রণয়নের আড়ালে ব্রিটিশ সরকার আসলে সেখানকার মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘শীতল যুদ্ধে’ লিপ্ত হতে যাচ্ছে। এতে উল্টো মুসলমানদের কট্টরপন্থার প্রতি ঝুঁকে পড়ার ঝুঁকি বাড়বে। সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কনজারভেটিভ দল জয় পেয়েই সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রণয়নে তোড়জোড় শুরু করেছে। সেদিকে ইঙ্গিত করেই গার্ডিয়ানের এক উপ-সম্পাদকীয়তে ওয়ার্সি ব্রিটিশ সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করেছেন।
তার মতে, বহু ব্রিটিশ মুসলমানের মনেই বদ্ধমূল ধারণা গেড়ে বসছে যে, নতুন সরকার তাদের বিরুদ্ধে ঠাণ্ডা যুদ্ধের জন্য নীতিমালা গ্রহণ করেছে।
ওয়ার্সি বলেন, আমাদের বলা হচ্ছে যে, স্বাধীনতা খর্ব করার মধ্য দিয়েই কেবল আমাদের সুরক্ষা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব। এতে তো একটি মতবাদের বিরুদ্ধে আরো ভালো কোনো মতবাদের আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধ করে জেতা হলো না। বরং যা হচ্ছে তা হলো আইন করে এবং সম্প্রদায়গুলোর ওপর নজরদারি করে তাদের সেই মতবাদ নিষিদ্ধ করা ও কণ্ঠরোধ করা।
অন্যতম এই জ্যেষ্ঠ ব্রিটিশ মুসলিম নেতার মতে, চরমপন্থা সামাল দিতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার আর পর্যাপ্ত অর্থায়নের ব্যবস্থা না করা হলে শুধু যে ব্রিটিশ মুসলমানদের পুরো একটা প্রজন্মকে হারাতে হবে তা-ই নয়, হারাতে হবে অন্যদেরও। কারণ তারা না পারবে ব্রিটেনের সঙ্গে একাত্ম হতে আর না পারবে পরিবর্তনশীল নতুন ব্রিটেন গঠনে ভূমিকা রাখতে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন ধীরে ধীরে ও যৌক্তিকভাবে প্রয়োগের ওপর জোর দেন এই নেতা।
ফিলিস্তিন বিষয়ে কনজারভেটিভ সরকারের পররাষ্ট্রনীতির প্রতিবাদে গত বছর ডেভিড ক্যামেরনের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন ওয়ার্সি। ব্রিটেনের ইতিহাসে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে সিনিয়র মুসলিম মন্ত্রী।