ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বাড়ছে
ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে ব্যবধান ক্রমশ বাড়ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সহযোগিতা বিষয়ক উন্নত দেশগুলির সংগঠন ওইসিডি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ওইসিডির সদস্য রাষ্ট্র ৩৪টি। সদস্যভুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলিসহ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান উন্নত অর্থনীতির দেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনসংখ্যার ১০ শতাংশ ধনীর আয় একই সংখ্যক দরিদ্রের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এ ধরণের বৈষম্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য হুমকি। অসাম্য বৃদ্ধির জন্য যেসব উপাদানকে ওইসিডি দায়ী করেছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে মানদ-হীন কাজ, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সাময়িক চুক্তিভিত্তিক কাজ ও স্বনির্ভরতা। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি থেকে এর সদস্য দেশগুলির মধ্যে যে কর্ম সৃজন হয়েছে তার অর্ধেকের বেশি মানদ-হীন। যে সব পরিবার এ ধরনের কাজের ওপর নির্ভরশীল তাদের দারিদ্রতার হার অন্য পরিবারগুলির তুলনায় বেশি। আর এটাই অসাম্যের ব্যবধান বাড়িয়েছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, আয় পুর্নবন্টনের ক্ষেত্রে কর ও সুবিধা পদ্ধতির কার্যকারিতা কমেছে। যেসব উপাদান বৈষম্যের ব্যবধান কমিয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি।
সদস্যদেশগুলির মধ্যে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বোঝাতে সংস্থাটি যে সূচক তৈরী করেছে তার নাম দেয়া হয়েছে গিনি সূচক। এই সূচক অনুযায়ী, ব্যবধান সবচেয়ে বেশি চিলতে। এরপরে রয়েছে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র। আর ব্যবধান সবচেয়ে কম রয়েছে ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া ও বেলজিয়ামে।