বিপর্যয়ের মুখে গাজার অর্থনীতি : বিশ্বব্যাংক
বিপর্যয়ের মুখে গাজার অর্থনীতি। তাছাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বেকারত্বের হারও যুদ্ধবিধ্বস্ত এই গাজা উপত্যকাতেই বিরাজ করছে। এ এলাকার ‘ভয়ানক আর্থিক সংকট’ কাটিয়ে উঠতে ফিলিস্তিন, ইসরায়েল এবং দাতা দেশগুলোর দ্রুত শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। গতকাল শুক্রবার বিশ্বব্যাংক তাদের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, গাজার রফতানি খাত আপাতদৃষ্টিতে একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ ‘যুদ্ধ এবং অবরোধ’। আর কিছু দিয়েই একে ব্যাখ্যা করা যায় না বলে মনে করে সংস্থাটি। বিশেষ করে ২০০৭ সালে আরোপিত অবরোধ ছিল ধ্বংসাত্মক, এই অবরোধের কারণে জিডিপি ৫০ শতাংশের বেশি হ্রাস পায় এবং জনকল্যাণমুখী তৎপরতা ভীষণভাবে হ্রাস পায়। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখিত এসব অবরোধ আরোপ করে গাজার প্রতিবেশী দেশ ইসরায়েল ও মিসর।
সম্প্রতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশঙ্কাজনক হ্রাস ঠেকাতে এবং আবারও একে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর মতো পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ, ইসরায়েল এবং আন্তর্জাতিক দাতা দেশগুলোর প্রতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও বড়সড়ো সংস্কারের অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। না হলে ‘ভয়ানক আর্থিক সংকট’ ঠেকানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেছে অর্থিক সংস্থাটি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে গাজার বেকারত্ব ৪৪ শতাংশে পৌছেছে, যা সম্ভবত বিশ্বের সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার। তার ওপর ফিলিস্তিন অঞ্চলে দারিদ্র্যের হার এরই মধ্যে ৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বলাই বাহুল্য, গাজাবাসীদের প্রতি ৫ জনের একজন কোনো না কোনো ধরনের ‘ত্রাণ গ্রহণে’ বাধ্য হয়।
বিশ্বব্যাংকের ফিলিস্তিন অঞ্চলের পরিচালক স্টিন লাউ জরগেনসেন এই প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গাজার বেকারত্ব এবং দারিদ্র্যের হার খুবই সমস্যাজনক এবং অর্থনৈতিক চেহারাটাও উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাংক গাজার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে পশ্চিম তীর এবং গাজার সমন্বিত একটি সরকার খুবই জরুরি বলেও উল্লেখ করেছে।
ফিলিস্তিনের জন্য দাতাদের সমর্থন আদায়ে কাজ করে এডহক লেইসন কমিটি। এ কমিটির দ্বিবার্ষিক বৈঠককে সামনে রেখেই এর আগ মুহূর্তে এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে।