ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশ’র মানব পাচার রোধ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে ২১ মে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবস্থ ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে ‘মানব পাচার রোধে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার তারেক আকবর খন্দকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি চৌধুরী রিয়াদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. মঞ্জুরুল আমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো: শাহীন চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের তরুন আইনজীবী ব্যারিষ্টার ফয়সাল দস্তগীর, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম কমু।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন, কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হামদান আবদুল্লাহ, নোমান উল্লাহ বাহার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আফিয়া জাহান রোশনি এবং হুমায়ুন কবির মেহেদী।
সেমিনারে বক্তাগন বলেন, মানব পাচারের বিষয়টি দুই ভাবে দেখতে হবে। একটি আন্তর্জাতিকভাবে আরেকটি আঞ্চলিকভাবে। রোহিঙ্গাদের মানব পাচারের ব্যাপারটি আন্তর্জাতিক মহলে উঠাতে হবে এবং মায়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে এবং বাংলাদেশীদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশের দরিদ্র এলাকায় ড্রাইবিং, কারিগরী শিক্ষাসহ যেসব দক্ষতা চাকরিদাতা দেশগুলোতে প্রয়োজন সেইসব বিষয়ে উঁচুমানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়তে হবে। এই সব কাজের সুফল দেশেও তারা পাবে। আবার বাইরের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ এ চাকরি পাবে। তারা আরো বলেন, সরকারের উচিত বিএমইটি’র কার্যালয় ঐসব এলাকায় নিয়ে যেতে হবে এবং সারাদেশে আর্বাণ গ্রোথ সেন্টার চালু করতে হবে।
ব্যারিষ্টার তারেক আকবর খন্দকার বলেন, বৈদিশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইন ২০১৩ হতে কিছু ধারা বাদ দেয়া দরকার। তিনি বলেন, এই আইনের দুর্বলতার দিকটি হচ্ছে যদি কোন ব্যক্তি অবৈধ অভিবাসন এর স্বীকার হন তাহলে ঐ ব্যক্তির ও শাস্তির বিধান রয়েছে এই আইনে। বিশ্বের কোন দেশের আইনে এই ধরনের বিধান নেই। এছাড়া আইনে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের জবাবদিহির বাইরে রাখা হয়েছে।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কায়সার আহমেদ, আশিকুর রহমান, মফিজুর রহমান, আরেফিন বিল্লাহ, কামরুল ইসলাম, এডভোকেট জামাল হোসাইন, আবদুর রহমান মনির, এম আনসারুল করিম, রিদওয়ানুল হক, সাজ্জাদ হোসাইন, সাদিয়া, কারিকা, লাভলী, রুম্পা, তিন্নি, বখতিয়ার, কুতুব, মাহবুব, সোহেল তালুকদার প্রমুখ।