আরটিজিএস সফটওয়ারের আওতায় আসছে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো
আগামী অক্টোবর থেকেই রিয়েলটাইম গ্রোস সেটেলমেন্ট সিস্টেম বা আর টি জি এস সফটওয়ার পদ্ধতির আওতায় আসছে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো। এই পদ্ধতিতে লেনদেন করলে ঢাকা থেকে টেকনাফ কিংবা তেঁতুলিয়ায় কোটি কোটি টাকা চলে যাবে তিন সেকেন্ডের মধ্যে। বিদ্যমান পদ্ধতিতে সেটা সম্ভব না। এছাড়া এই পদ্ধতিতে লেনদেন শুরু হলে টাকা বহনের ঝামেলাও থাকবে না।
এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা আরটিজিএস পদ্ধতির নানা দিক তুলে ধরেন। তারা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আগামী ৩০ মে রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে সেমিনারের আয়োজন করা হবে। এতে স্ব-স্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এস এম রেজাউল করিম, পিএসডি উপ-পরিচালক খন্দকার আলী কামরান আল জাহিদ, ইউজার সংগঠন সিটিওর সভাপতি তপন কান্তি সরকার, মহাসচিব সৈয়দ মাসুদুল বারী প্রমুখ।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, আরটিজিএস মূলত অনলাইনে এক ব্যাংক হতে অন্য ব্যাংকে তাৎক্ষণিক তহবিল স্থানান্তরের বিশেষায়িত পদ্ধতি। তারা বলেন, এ পদ্ধতি ব্যবহার করে আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন আরো বাস্তবমুখী এবং নিরাপদ করা যায়।
ইউজার কমিটির সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, আর টি জিএস অনলাইন জটিলতামুক্ত তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানে একটি কার্যকর পদ্ধতি। যা ব্যক্তি পর্যায়ে তাৎক্ষণিক লেনদেন এবং ক্রেতার ডেবিট ক্রেডিট হিসেবে নির্ভুলতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়াও সামগ্রিক লেনদেনে সঠিক তথ্য প্রাপ্তিতে এ ভূমিকা কার্যকরী। বর্তমান সময়ের অনলাইন ব্যাংকিং সেবাকে আরও দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে এর প্রয়োগ কার্যকরী।
ব্যাংকগুলোকে আর টি জিএস পদ্ধতির আওতায় আনতে ২ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। এর বেশির ভাগ অর্থই দাতা সংস্থা এডিবি বহন করবে।