জিহাদিদের প্রভাব বনাম মুসলিমদের ব্যক্তিগত জীবনে নজরদারি
যুক্তরাজ্য পুলিশের সবচাইতে উচ্চপদস্থ মুসলিম কর্মকর্তা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কমান্ডার ম্যাক চিশতী বলেছেন দেশটিতে তরুণ মুসলিমদের উপর জিহাদিদের প্রভাব এতটাই বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে যে তাদের ‘ব্যক্তিগত জীবনে’ নানান বিষয় কঠোর নজরদারির মধ্যে আনতে হবে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, সেখানে শিশুরা পর্যন্ত ক্রিসমাসকে হারাম বলে উল্লেখ করে। তার মতে জিহাদিরা স্যোশাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটে খুব শক্তিশালী।
ব্যক্তিগত জীবন বলতে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি পাড়ার রাস্তায় হাটা থেকে শুরু করে মোবাইল ফোনে কথা বলা এমনকি নিজের বেডরুমে বসে নেটে সার্চ করার কথা উল্লেখ করেছেন। তার এই মন্তব্য নিয়ে দেশটিতে কয়েকদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। মুসলিম সম্প্রদায় এই মন্তব্যের সমালোচনা করছে।
ব্রিটেনের রাজনীতিতে জিহাদি প্রসঙ্গটি ইদানীং বেশ প্রভাব ফেলছে। আবার ডানপন্থী রাজনীতির সমর্থকরা অনেকেই এটির পক্ষে কথা বলছেন।
মুসলিম কাউন্সিল অফ ব্রিটেনের সাবেক মহাসচিব মো. আব্দুল বারী বলছেন, পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মুখ থেকে এমন বক্তব্য এসেছে বলে বিষয়টি উদ্বেগের।
তিনি বলছেন, সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায় এখন ব্যাপক নজরদারির টার্গেট হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছে।
তিনি আরও বলছেন, পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে অপরাধীদের ধরা। মানুষের মনের মধ্যে অপরাধী চিন্তা আছে কিনা সেটা নিয়ে মাথা ঘামানো তাদের দায়িত্ব নয়।
ব্রিটেন থেকে সম্প্রতি বহু মুসলিম তরুণ জিহাদে অংশ নিতে সিরিয়াতে বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে গেছে বলে দেশটির পুলিশ বলছে।
তাদের মধ্যে ৭০০ জন সিরিয়া থেকে ব্রিটেনে ফিরে এসেছে বলে পুলিশ বলছে। তারা ব্রিটেনে জিহাদি বিশ্বাস ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেকেই এধরনের নজরদারির পক্ষে কথা বলছেন। -বিবিসি