এনআরবি ডে ঘোষিত হলে প্রবাসীদের প্রতি সম্মান করা হবে : ড. মোমেন

BBCCবছরের একটি দিনকে এনআরবি ডে হিসেবে ঘোষণা করা হলে ননরেসিডেন্ট বাংলাদেশীদের প্রতি সম্মান করা হবে। এমন্তব্য জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এম্বেসেডর ড. এ কে আব্দুল মোমেনের। তিনি বলেন, বিবিসিসিআই প্রস্তাবিত এই দাবীর যৌক্তিকতা রয়েছে। তিনি বছরের একটি দিনকে এনআরবি ডে হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার জন্যে সরকারের সাথে লবিং করার  প্রতিশ্রুতি দেন।
২৪মে মঙ্গলবার বিকেলে ইষ্ট লন্ডনের অট্রিম ব্যানকুইটিং হলে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রি (বিবিসিসিআই) আয়োজিত নেটওয়ার্কিং ডিনারে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এনআরবি ডে ঘোষণা করা হলে এর মাধ্যমে ননরেসিডেন্ট বাংলাদেশীদের সমস্যা সম্ভাবনা পূরন করা সম্ভব, কেননা এই এনআরবিরাই দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি।
ড. মোমেন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ প্রবসীরা মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানকারী বিদেশী বন্ধুদের নাগরিকত্ব ও সম্মাননা প্রদান করে শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এপর্যন্ত ৬৫৮জন বিদেশী বন্ধুকে বাংলাদেশ সম্মান সূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, সর্বপ্রথম তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে সাতজন বিদেশী বন্ধুর নাম প্রস্থাবন করেছিলেন।
ড. মোমেন আরো বলেন, শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে  বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে, বিশেষ করে অটিজম সচেতনতা ও ক্লাইমেট চেঞ্জের মতো বিষয়গুলো  বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশ্বজলবায়ু সম্মেলন ও ক্যাম্পেইন যেভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে আলোচিত হচ্ছে এবং এর বিরুপ প্রভাবে যেসব দেশ আক্রান্ত ও তহবিল পাচ্ছে এর সফল ক্যাম্পেইন এবং বিশ্ব পরিমন্ডলে অত্যন্ত সফলতার সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়াজ উঠানোর ফলেই সেটা সম্ভব হয়েছে।
ড. আব্দুল মোমেন বলেন, প্রবাসীরা দেশের জন্যে কাজ করেন বিনিময়ে কিছুই পাননা, দেশের উন্নয়নে যেসব প্রবাসী অবদান রাখছেন তাদের সম্মান জানাতেও উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, আমরা যে যে অস্থানেই থাকিনা কেন দেশ ভাষা ও সংস্কৃতিকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা উচিত।
তিনি বলেন, ইউনাটেড ন্যাশনে বাংলাদেশ লাউঞ্জ প্রতিষ্টা করা হয়েছে। সেখানে মাত্র পাঁচটি দেশের লাউঞ্জ রয়েছে, এটিও আমাদের একটি অন্যতম কুটনৈতিক সাফল্য। শেখ হাসিনার সময়ে আমেরিকায় বাংলাদেশ মিশনের নিজস্ব ভবন ও হাইকমিশনারের জন্যে বাসস্থান ক্রয় করা হয়েছে, এতে প্রতি মাসে সরকারের  বেঁচে যাচ্ছে ৪৩ হাজার ডলার। তিনি বলেন বিশ্ব ব্যাপী যখন মন্দা বাংলাদেশ তখন গ্রোথ করছে ৬.২%। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসীরা এগিয়ে এসেছেন, ভারতে নিয়মিত অর্থসাহায্য পাঠিয়েছেন। বর্তমানে প্রবাসী রেমিটেন্স দেশকে সম্বৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে অবদান রাখছে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের বাইরে মৃত্যুবরন করলে  প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের  রাষ্ট্রীয়ভাবে যাতে সম্মান প্রদান করা হয় সেধারা তিনি শুরু করেছেন, তিনি বলেন আমেরিকায় প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা খসরুজ্জান চৌধুরীকে প্রথম রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করা হয়।
অনুষ্টান শেষে প্রশ্ন উত্তর পর্বে ড. আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সহ রিজিওনাল এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে  আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সম্ভব।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিবিসিসি লন্ডন রিজিওনের প্রেসিডেন্ট বশির আহমদ।
বক্তব্য রাখেন, বিবিসিসির ডিরেক্টর জেনারেল মুহিব চৌধুরী, ডিরেক্টর এন্ড এডভাইজর ব্রিটিশ কারি এওয়ার্ডের প্রবর্তক এনাম আলী এমবিই, ডিরেক্টর এন্ড সাবেক প্রেসিডেন্ট মুকিম আহমেদ, সিনিয়র এডভাইজর এন্ড সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহগীর বখত ফারুক, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এম এম নূর , ডিরেক্টর সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, ডিরেক্টর মনির আহমদ, সাবেক ডিরেক্টর জেনারেল আবসার এম ওয়ায়েছ, এনআরবি সেন্টারের চেয়ারম্যান শেকিল চৌধুরী, সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, ডিরেক্টর সাবরিনা হোসেন, ডিরেক্টর মমতাজ খান।
প্রধান অতিথি সহ আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনি বক্তব্য রাখেন ফিনান্স ডিরেক্টর সাইদুর রহমান রেনু জেপি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button