সকল জনপ্রিয় কর্মসূচী অব্যাহত রাখতে চাই : রাবিনা খান

Rabina Khanমেয়র প্রার্থী রাবিনা খান বলেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি নতুন টাউন হল, কবরস্থানসহ লুতফুর রহমানের সময়ে নেয়া সকল জনপ্রিয় কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন। সম্প্রতি হোয়াইটচ্যাপল মার্কেটে ক্যাম্পেইনকালে রাবিনা খান এসব কথা বলেন।
টাওয়ার হ্যামলেটসের মানুষ লুতফুর রহমানকে ভোট দিয়ে ভুল করেনি উল্লেখ করে রাবিনা খান বলেন, আগামী ১১ জুন অনুষ্ঠিতব্য মেয়র পদের পুনর্নির্বাচনে তাঁকে বিজয়ী করে জনগণ আবার সেই প্রমাণ দেবে। এ সময় তিনি হোয়াইটচ্যাপল ভিশনের মাধ্যমে এই এলাকার সামগ্রিক পরিবর্তন ও উন্নতি, নতুন নিজস্ব টাউন হল নির্মাণ ও কবরস্থানসহ ইত্যাদি কর্মসূচী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
হোয়াইটচ্যাপল মার্কেটে নির্বাচনী প্রচারের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র লুতফুর রহমান, লেবার পার্টির সাবেক বারা সেক্রেটারি স্টিভেন বেকেট, হোয়াটচ্যাপল মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা শাহ আলম, সাবেক সেক্রেটারি ফারুক আহমদ, ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, আবু তাহের চৌধুরী, ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার ওলিউর রহমান, ক্যাবিনেট সদস্য কাউন্সিলার আবদুল আসাদ, ক্যাবিনেট সদস্য গোলাম রববানী ও ক্যাবিনেট সদস্য আমিনুর খান প্রমুখ।
লুতফুর রহমান বলেন, রাবিনা খান হচ্ছেন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি। আধুনিক এবং সমাজসচেতন একজন নারী।
তিনি বলেন, আমার প্রবল বিশ্বাস আমার প্রতি মানুষ যে অকৃত্রিম ভালোবাসা দেখিয়েছেন, যে আন্তরিকতার প্রমাণ দিয়েছেন, তেমনটিই করবেন রাবিনার ক্ষেত্রেও। উন্নতি ও পরিবর্তনের যে অঙ্গীকার সেটি ঝুঁকিতে পড়ুক, এটা জনগণ চায় না।
টাওয়ার হ্যামলেটসের শুরু হওয়া অগ্রগতি ধরে রাখার আহবান জানিয়ে সাবেক মেয়র বলেন, রাবিনার প্রতি আপনাদের সমর্থন দিন। মেয়র প্রার্থী রাবিনা খান সম্প্রতি বো, মাইল এন্ড, স্টেপনি, পপলার, লেন্সবারী, ব্রিকলেন, সেইন্ট পিটার্স এবং বেথনালগ্রিনসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালান।
রাবিনা খান বলেন, স্বল্প সময়ে আমরা হয়তো সব ঘরে এবং এলাকায় যথার্থভাবে খবর পৌঁছাতে পারছি না। কিন্তু মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি অভিভূত। আমি প্রমাণ পেয়েছি, আমরা যে জনগণের জন্য কিছু কাজ করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে এতো প্রচারণার পরও আমাদের যে কাজের রেকর্ড আছে, সেটা মানুষ বুঝতে পারছে। সাধারণ মানুষ তথা ভোটাররাই এবার চুড়ান্ত বিচার করবেন। তারা আমাকে দেখেই যে ভোট দেবেন এমনটি নয়। তারা জানেন, আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপুল উন্নতি করেছি, ইএমএ বিকল্পভাবে দিয়েছি, বড় বড় বাড়ি তৈরী করেছি, ট্রেনিং এবং চাকুরী ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশেষ করে টাওয়ার হ্যামলেটস হচ্ছে সবচেয়ে বেশী তরুণ জনসংখ্যার বারা। আমরা অন্য বারার তুলনায় সবচেয়ে বেশী (বছরে ১০ মিলিয়ন) বাজেট রেখেছি তরুণদের জন্য। আমরাই একমাত্র বৃদ্ধ মানুষের জন্য ফ্রি হোম কেয়ারের ব্যবস্থা রেখেছি। এলাকার মানুষ ইতিহাস জেনে এবং বুঝেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে রাবিনা খান তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button