শিলংয়ের কারাগারে সালাহউদ্দিন
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের আদালত। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১৪ দিন তিনি বিচারিক হেফাজতে (জুডিশিয়াল কাস্টডি) থাকবেন। একই সময়ে নেগ্রিমস হাসপাতালের অধীনে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে।
আজ বুধবার বিকেলে বিএনপির এই নেতাকে শিলং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক কে এম এল নোংভি শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালতে উপস্থিত ছিলেন সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমদ।
এর আগে বুধবার স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটার দিকে সালাহউদ্দিনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। সোয়া তিনটায় বিচারক এজলাসে বসেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী এসপি মোহন্ত ও অনি আগারওয়াল সালাহউদ্দিনকে বিচারিক হেফাজতে নেয়ার আবেদন জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রুটিন চেকআপ শেষে সালাহউদ্দিনকে ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে নেয়ার আদেশ দেন। পরে আদালত থেকে সালাহউদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে কারাগারে পাঠানো হয়
গতকাল মঙ্গলবার নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদকে ছাড়পত্র দেয়। পরে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে ভারতে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনেছে মেঘালয়ের রাজ্য পুলিশ। গত ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজের ৬২ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে খোঁজ মেলে সালাহউদ্দিনের। ১২ মে সালাহউদ্দিনকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন তাকে উদ্ধার করে একটি মানসিক হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। ওই দিনই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করায় ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাহউদ্দিনকে গ্রেফতার দেখায় মেঘালয় পুলিশ। এরপর তার উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলংয়ের নেগ্রিমস হাসপাতালে নেয়া হয়।
গত শুক্রবার শিলংয়ের একটি আদালতে তার পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমদ। এ বিষয়ে ২৯ মে পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত।