৪০ হাজার অভিবাসী গ্রহণের প্রস্তাব ইইউর
ইইউ তার সদস্য দেশগুলোকে আগামী দুই বছরের মধ্যে সিরিয়া ও ইরিত্রিয়া থেকে ইতালি ও গ্রিসে এরই মধ্যে আসা অন্তত ৪০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে কোটা ভিত্তিতে গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার এ আহ্বান জানায় ইইউ।
এক সংবাদ সম্মেলনে ইইউর স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার দিমিত্রিস অ্যাভ্রামোপওলস বলেন, ‘আমরা জরুরি ভিত্তিতে অন্যান্য ইউরোপীয় (সদস্য) রাষ্ট্রে ৪০ হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে গ্রহণের প্রস্তাব করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সিরীয় এবং ইরিত্রীয় নাগরিকদের আগামী দুই বছরের মধ্যে ইতালি ও গ্রিস থেকে অন্যান্য ইউরোপীয় সদস্য রাষ্ট্রে পুনর্বাসিত করতে চাই।’ দিমিত্রিস আভ্রামোপওলস কোটাভিত্তিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের পুনর্বাসন কিসের ভিত্তিতে হবে সে বিষয়েও আভাস দেন তিনি। তিনি বলেন, একটি সদস্য দেশের গড় দেশজ উৎপাদন, জনসংখ্যা, বেকারত্ব এবং ওই দেশে ইতিমধ্যে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আবেদনের সংখ্যা_ এই চারটি বিষয় বিবেচনার মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিলি-বণ্টন করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার ইইউর পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকো মোঘেরিনি বলেন, ‘এ প্রস্তাব সঠিক নয়, তবে এ কারণে সামনের দিনগুলোতে অনেক শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ, এর ফলে (ইইউ দেশগুলোর) সংহতির নীতির সূচনা ঘটবে।’ তিনি আরও বলেন, আশ্রয় প্রার্থীদের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা যাতে তা অনুমোদন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে ‘সবার সম্মতি আদায়ের দরকার পড়বে’।
আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের ইতালি ও গ্রিসে পা রাখা অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্রোত সামাল দিতে একটি নতুন পকিল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল বুধবার প্রকাশিত ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী ইইউ তার সদস্য দেশগুলোকে কোটা ভিত্তিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। তবে এ নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এখনও ইউরোপীয় দেশগুলোতে বিতর্ক রয়ে গেছে। ব্রিটেন এরই মধ্যে এর বিরোধিতা করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি দেশও এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। ব্রিটেন, হাঙ্গেরি,বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো, চেক রিপাবলিক এবং পোল্যান্ড অভিবাসন প্রত্যাশীদের গ্রহণের বাধ্যবাধকতা মেনে নিতে নারাজ। তাই ধারণা করা হচ্ছে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের পুনর্বাসনের এই কাজ সহজ হবে না। আগামী দুই বছরে প্রধানত সিরিয়া থেকে আসা ২০ হাজার উদ্বাস্তুকে বিভিন্ন সদস্য দেশের কে কতজনকে পুনর্বাসন করবে এবং পুনবার্সনের নীতি কী হবে তা নিয়েও ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে ইইউর।